মদনে চেতনা নাশক ঔষধ খাওয়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল
নেত্রকোণার মদন উপজেলার মাঘান গ্রামে চেতনা নাশক ঔষধ খাওয়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। ভোক্তভোগী দাবিদার গোলাপ মিয়া ও তার মেয়ে শিমু আক্তারের বিভিন্ন সময়ে দেয়া বক্তব্যে ভিন্নতা পাওয়া গেছে।
সরজমিনে গেলে স্থানীয় তৌফিক মিয়া জানায়, গোলাম মিয়ার পিতা কুতুব উদ্দিনকে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা পর্যন্ত সুস্থ দেখেছি। পরে শুনলাম উনি অসুস্থ হয়ে মদন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রোববার রাতে কে বা কারা রাতের আঁধারে উনাকে খাবারের সাথে নাকি চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে দিয়েছে। অথচ তিনি জামাতের সহিত ফজরের নামাজ পড়েছেন।
মসজিদের ইমাম আলী আজগর সাহেব জানান, আমার মসজিদের মোয়াজ্জেম কুতুব উদ্দিন সোমবার ফজরের নামাজ প্রথম কাতারে জামাতের সহিত ঠিক আমার পেছনেই আদায় করেছেন।
গোলাপের নিকট প্রতিবেশী জিন্নাত আলীর ছেলে দীন ইসলাম জানান, সকালে গোলাপের স্ত্রী হালকা অসুস্থ এ কথা তারা বলতেছিলো। আর ঘরের বাকী সবাইকে সুস্থ দেখেছি। এখন শুতে পাই সবাই নাকি অসুস্থ।
এ বিষয়ে জুয়েল খন্দকার জানান, চেতনা নাশকের ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো। আহাদুলের সাথে বিল নিয়ে একটা পক্ষের ঝামেলা চলছে। মুলত এর জন্যই এ
নাটক।
স্থানীয় আরো অনেকে জানায়, গোলাপের সাথে কাকনের পূর্ব থেকেই দহরম-মহরম সম্পর্ক। কিন্তু হঠাৎ করে কেনো তাদের মধ্যে ঝামেলা ঘটলো সেটাই রহস্য! সিরাজ মিয়ার ছেলে আব্দুল গণির গ্রুপের সাথে আহাদুলের বিল নিয়ে ঝামেলা চলছে। আব্দুল গণির গ্রুপের লোকজন গোলাপকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করছে।
এদিকে গোলাপ ও তার মেয়ে প্রথমে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে একরকম বক্তব্য দিয়েছে। পরে সন্ধ্যায় ভিন্নরকম বক্তব্য দেয়। এতে প্রমাণিত হয় যে, ঘটনাকে ভিন্ন দিকে নিতে গোলাপ তার পরিবারকে পেছন থেকে একটা গ্রুপ সহযোগিতা করছে।
এ বিষয়ে কানন মিয়া জানান, আমি গোলাপের নিকট ১৫ হাজার টাকা পাই,তার জন্য রবিবার সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে গিয়ে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা
ও বানোয়াট।
মদন থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, এখন ও কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন