মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা
ইলিশের প্রজনন মৌসুমের কারণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে সরকার। রোববার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ভোলায় ২২ দিনের ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখে সাগর ও নদী থেকে ফিশিংবোট, ট্রলার, নৌকা ও মাছ শিকারের সব সরঞ্জাম নিয়ে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা।
একই সঙ্গে রোববার মধ্যরাত থেকে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের আলেকজেন্ডার থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটিার জুড়ে নদীতে ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ। ইলিশের এ প্রজনন মৌসুমে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে সরকার। সে হিসেবে নিষেধাজ্ঞা চলবে আজ মধ্যরাত থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
নিষাধাজ্ঞার সময়ে ইলিশ শিকার, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। গত বছর এই নিষেধাজ্ঞা ছিল ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু এবার তা এগিয়ে আনা হয়েছে।
ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় একটানা ২২ দিন চাঁদপুরের ৭০ কিলোমিটার নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। এ সময়ে নদীতে বালু উত্তোলনে নিয়োজিত ড্রেজার ও ব্যক্তিগত স্পিডবোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন।
এ ছাড়া উল্লিখিত সময়ে আটককৃত জেলে নৌকা এবার নিলামে বিক্রি করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় এবারও কঠোর থাকবে প্রশাসন। যেকোনো মূল্যেই এ অভিযান সফল করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে নদীপাড়ের জেলে, জনপ্রতিনিধি এবং সচেতন মানুষকে তৎপর থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাইব না গরিব জেলেদের আটক করতে। কিন্তু তারা কথা না শুনলে আমরা কঠোর হতে বাধ্য হব। অভয়াশ্রম চলাকালে আমাদের নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি সপ্তাহে দুইবার কম্বাইন্ড টিম অভিযান করবে। রাতের বেলায় বেশি মাছ শিকার হয়। তাই রাতের বেলায় একটি স্পেশাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন তারা অভিযান পরিচালনা করতে পারে। সড়ক পথেও একাধিক চেকপোস্ট থাকবে।
অভিযান চলাকালে একটি নৌকাও নদীতে নামতে পারবে না, এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। অধিক গতি বা একের অধিক ইঞ্জিনচালিত নৌকা রিকুইজিশন করে রাখা হবে। সেগুলো নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, জেলা পুলিশ ব্যবহার করবে।
এদিকে ভোলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট এলাকার বাসিন্দা মো. মালেক মাঝি জানান, সরকার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ট্রলার, নৌকা, জালসহ মাছ শিকারের সব সরঞ্জাম উঠিয়ে নিয়েছেন তিনি। অভিযানের সময় মাছ ধরতে নদীতে যাবেন না তিনি।
বিষয়টি নিয়ে ভোলা সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন জানান, ২২ দিনের মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞাকে সফল করতে এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণা করেছেন তারা। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি চাল দ্রুত বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞার সময়ে এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধের বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন