‘মরে তো যাবোই, দোয়া করো যাতে কষ্ট কম হয়’..!
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের নর্থ কেনসিংটনে ২৭ তলার গ্রিনফিন টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ভোরে। তখন ফজরের নামাজ শেষ। সেহরির ঠিক পর পরই আগুন দেখা যায় ২৭ তলা ওই টাওয়ারে। আতঙ্ক আর প্রাণবাঁচাতে চিৎকার কানে আসে।
গ্রিনফিনের ১৭ তলায় বসবাসরত এক বাঙালি পরিবারের মেয়ে হোসনা। কদিন পরেই তার বিয়ে। আতঙ্ক আর প্রাণ বাঁচাতে টাওয়ারের বাসিন্দারা নানা চেষ্টা করলেও হোসনা বুঝতে পারেন যে যাই বলুক মৃত্যু তার নিশ্চিত।
তাই হোসনা তার চাচাতো ভাইকে শেষ ফোনটা করেন। বলেন, ‘ভাইয়া দোয়া করো, যাতে আমাদের কষ্ট কম হয়। মারা তো যাবোই, কষ্ট যাতে কম হয় দোয়া করো।’
বাঙালি পরিবারের মেয়ে হোসনার এই আকুতির কথা জানিয়েছেন লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক মুনজের আহমেদ চৌধুরী। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘ওর (হোসনা) আত্মীয়দের কাছ থেকে জেনেছি, ওর বিয়ের কার্ড প্রস্তুত ছিল। বিয়ের সব কেনাকাটাও প্রায় শেষ। আগামী ২৯ জুলাইয়ের জন্য হল বুকিংও দেয়া হয়েছে। সেই মেয়ের কণ্ঠেই শেষ আকুতি ভেসে আসে, মরে তো যাবোই, দোয়া করো যেন কম কষ্ট হয়। হোসনরা গ্রিনফিন টাওয়ারে ১৭ তলায় ১৪৪ নম্বর ফ্ল্যাটটিতে ছিলেন।’
এর আগের রাতে বাংলাদেশি সময় দুটার দিকে সাংবাদিক মুনজের আহমেদ চৌধুরী তার ফেসবুকে হোসনার বিয়ের খবরসহ লেখেন, ‘লন্ডনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও নিখোঁজ এ পরিবারটি। কোনো খোঁজ পেলে উল্লিখিত নাম্বারে জানান।’
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, কমরু মিয়া, তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে। তাদের বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ফৈসাউরা গ্রামে। মুনজের আহমেদ বলেন, ‘ওরা ফ্ল্যাটটিতে বছর খানেক আগে উঠেছে। আর কোনো বাঙালি পরিবারের নিখোঁজ হবার খোঁজ-খবর এখনও আমরা পাই নাই।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন