মাদারীপুরে প্রসূূূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ; মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভাঙচুর

মাদারীপুরে দায়িত্ব অবহেলায় এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ এনে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ঘন্টাব্যাপী ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জেলার একমাত্র মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে হামলা-ভাংচূুরের ঘটনা ঘটে। নিহত লাকী মাদারীপুর শহরের শান্তিনগর এলাকার মন্টু বেপারীর স্ত্রী।

স্বজনদের অভিযোগ, প্রসব যন্ত্রনা সইতে না পারায় বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুর জেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় ৩০ বছরের লাকি বেগমকে। এর কিছু সময় পর প্রতিষ্ঠানের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক তাছলিমা বেগম, লাকির নরমাল ডেলিভারী করেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফোনে জানানো হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার আমেনা খাতুনকে। তিনি না এসেই ফোনে লাকীকে সদর হাসপাতালে প্রেরনের নির্দেশ দেন।

তরিঘড়ি করে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল লাকিকে প্রেরণ করেন চিকিৎসক। মধ্যপথে মৃত্যু হয় লাকির। এই ঘটনাকে কেন্দ্রে করে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা। এক পর্যায়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলার গোয়েন্দা পুলিশ।

নিহত লাকীর স্বামী মন্টু বেপারী বলেন, ভুল চিকিৎসায় আমার স্ত্রীর অনেক রক্তক্ষরণ হয়, এই ঘটনার বিচার চাই। উত্তেজিত জনতা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্বে) ডা. আমেনা খাতুন জানান, ভুল কিংবা অবহেলা নয়, সঠিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয় লাকির। নরমাল ডেলিভারী করতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করবো যিনি দোষী সাব্যস্ত আছেন তার যদি দোষ প্রমানিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত এবং বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম সরদার জানান, প্রসূতি মায়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জেলার একমাত্র মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে হামলা-ভাংচুররের খবরে পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ। এই ব্যাপারে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।