মাদারীপুরে রেমালের আঘাতে ভেঙে পড়েছে গাছপালা-ঘরবাড়ি
মাদারীপুরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
সোমবার ( ২৭ মে) ভোররাত থেকে শহর ও গ্রামের রাস্তাঘাটে কয়েকশ গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন রয়েছে পুরো জেলা। অনেক স্থানে গাছের গুঁড়ির চাপে পড়ে ভেঙেছে কাঁচাপাকাঘর। প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে বের হতে না পেরে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা।
সোমবার সকালে মাদারীপুর ডিসি ব্রিজ এলাকায় বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে ভিজছিলেন এক ইজিবাইক চালক। তার নাম উজ্জ্বল । প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে বাসা থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে আবহাওয়া খারাপ। তবুও গাড়ি নিয়ে বের হইছি। ঝুঁকি জেনেও কী করব? ঘূর্ণিঝড়েও তো কিস্তি মাফ নাই।’
মাদারীপুর সদর থানার পাশে এক চা দোকানি বলেন, ‘দোকান খুলে বসে আছি। বৃষ্টি ও দমকা ঝড়ে ঘর থেকে কেউ বের হয় না। তাই বেচাকেনাও নাই।’ঝড়ে শহরের আমিরাবাদ এলাকায় কাওসার হোসেনের বাড়ির রান্নাঘরের ওপরে একটি গাছ পড়ে। নতুন শহর এলাকায় এমরান লতিফের বাড়ির গাছের ডাল ভেঙে রাস্তার ওপরে এসে পড়েছে। একই দৃশ্যদেখা গেল জেলার বিভিন্ন স্থানে।
তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব মোকাবেলায় মাদারীপুর ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ের কর্মকর্তা মশিউর রহমান ঘুরে ঘুরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জেনেছেন আর বলেছেন যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমাদের সাধ্যমত আমরা সহযোগিতা করব।
মাদারীপুর সহকারী আবহাওয়া কর্মকর্তা আবদুর রহিম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কিছু জায়গায় জায়গায় গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন