মার্কিন ফার্স্টলেডি হলেও শিক্ষকতা ছাড়ছেন না ড. জিল বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পূর্ণকালীন পেশাজীবী নারী হিসেবে প্রথম ফার্স্টলেডি হতে যাচ্ছেন ড. জিল বাইডেন (৬৯)। ফাস্ট লেডি হলেও শিক্ষকতা ছাড়বেন না দুটি মাস্টার্স ও পিএইচডি’র অধিকারী এই জিল বাইডেন।
ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ক্যাথরিন জিলসন বলেন, অনেক মার্কিন নারীই নিজেদের কর্মজীবন ও পরিবার একসঙ্গে সামলান। কিন্তু ফার্স্ট লেডিরা এটি করতে পারেন না। কিন্তু এখন সেই সময় এসেছে যে, আমেরিকানরা অভ্যস্ত হবেন ফার্স্ট লেডি ২৪ ঘণ্টা হোয়াইট হাউসে থাকবেন না।
জিল সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে সেকেন্ড লেডি হিসেবে ৮ বছর ধরে ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামার সঙ্গে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। সমান তালে চালিয়ে গিয়েছেন ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপনা। বাইডেনের প্রার্থীতা নিশ্চিত হওয়ার পর গত আগস্টেই কলেজের ক্লাসরুম থেকেই কনভেনশনে বক্তব্য দেন জিল।
জিলের নাতনি নাওমি বাইডেন বলেন, সে গতানুগতিক দাদীমাদের মতো নয়। সে এমন একজন যে কি না তোমাকে ক্রিসমাসের ছুটির সময়ও ভোর ৫টায় উঠিয়ে ব্যায়াম করতে পাঠাবে।
ইউএসএ টুডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মজা করে বারাক ওবামা বলেন, জিল এক ভয়ানক ফার্স্টলেডি হতে যাচ্ছেন।
মিশেল ওবামা বলেন, জিল একজন খাঁটি মানুষ। তার মধ্যে কোনো ভনিতা নেই। নিউজার্সি রাজ্যে ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন জিল জ্যাকবস। ১৯৭২ সালে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় স্ত্রী-কন্যাকে হারান বাইডেন। একাই বাকি দুই পুত্রকে বড় করতে থাকেন। ১৯৭৭ সালে বিয়ে করেন জিল ও জো।
বাইডেনের সন্তান হান্টার ও বিয়াউর দায়িত্ব নেন জিল। ১৯৮১ সালে এই দম্পতির ঘরে আসে কন্যা অ্যাশলি। তার শিক্ষায় আছে ডক্টরেট ডিগ্রী, এখন শিক্ষকতা করছেন নর্দান ভার্জিনিয়া কমিউনিটি কলেজে। পরিবার ও সন্তানদের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি দুটি মাস্টার্স করেন জিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন