‘মা’ অনুমতি দিলেই পুলিশ কর্মকর্তা সেই ছেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
বাবুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা চার সরকারি চাকরিজীবীর বৃদ্ধ মা মনোয়ারা বেগম (৭০) একমুঠো ভাতের জন্য ভিক্ষা করার ঘটনা সারাদেশে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। বিশেষ করে এ ঘটনায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়ছেন তারই গর্ভে ধারণ করা তিন পুলিশ ছেলে ও স্কুল শিক্ষিকা মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সেই বৃদ্ধ ভিখারি মায়ের দেখভাল করার জন্য পাঁচ ছেলেকে অঙ্গীকার করিয়েছেন রেঞ্জ ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম।
বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বৃদ্ধার ছেলেদের মুখ থেকে পুরো বিষয়টি শুনে পারিবারিক দ্বন্দ্বের আলামত পাওয়া গেছে। মূলত পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছে। যে কারণে মাকে অবহেলা বা অবজ্ঞা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশের একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে দোষগুণ বিবেচনা করার পরে বৃদ্ধ মা অনুমতি দিলে পুলিশ ছেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হেডকোয়াটারে সুপারিশ রাখা হবে।”
এদিকে বৃদ্ধা মা মনোয়ারা বেগমের (৭০) দায়িত্ব নিতে তিন পুলিশ সন্তানসহ পাঁচজনই প্রস্তুত রয়েছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে ডিআইজি তাদের একটি শর্তজুড়ে দিয়েছেন তিনি (ভিখারি) যার কাছে যাবেন সেই ছেলে দেখভাল করবেন।
এছাড়া বাকি ছেলেরাও তার নিয়মিত খোঁজখবর রাখবেন। এই বিষয়টি তদারকি করার জন্য বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দিয়েছেন ডিআইজি।
এদিকে বৃদ্ধা মায়ের স্কুলশিক্ষিকা কন্যা ডিআইজি কার্যালয়ে আসেননি।
উল্লেখ্য, স্বামী মারা যাওয়ার পর ছেলে ও মেয়েদের অবহেলার কারণে এক পর্যায়ে ভিক্ষায় নামতে হয় বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমকে। কয়েক মাস আগে ভিক্ষা করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে তার কোমরের হাড় ভেঙে যায়। এরপর থেকেই তিনি স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারতেন না। ভিক্ষার পথও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে বিনা চিকিৎসায় অর্ধাহারে অনাহারে বাবুগঞ্জের স্টিল ব্রিজের পাশে একটি ঝুঁপড়ি ঘরে পড়েছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন