মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে বেড়ে যায় কেন?
হঠাৎ করেই মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। শুধু রসে ভরা মিষ্টিই না চায়ে চিনি খাওয়াও যেন দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। স্বজনরাও আপনার অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি খাওয়া দেখে চিন্তিত।
কোনো গুরুতর সমস্যার কারণে এমনভাবে মিষ্টি খাওয়া বেড়ে গেছে? অথবা অন্য কিছু নয়তো? এমটাই কি আপনি ভাবছেন?
সম্প্রতি নিউইয়র্কের ইথিকায় অবস্থিত কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রবিন ড্যান্ডো এক গবেষণায় জানিয়েছেন, যারা খাবারে মিষ্টির স্বাদ ঠিকমতো পান না, তারাই সাধারণত বেশী পরিমাণে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন। তথ্য বোল্ডস্কাই।
ড্যান্ডো কয়েকজনের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছিলেন।
পরীক্ষায় সাময়িকভাবে কয়েকজনের স্বাদগ্রন্থিতে এমন পরিবর্তন করা হয়েছিল যাতে তারা মিষ্টির স্বাদ অনুভব করতে না পারেন।
সমীক্ষার শুরুতে কয়েক জনকে ‘জিমনেমা সিলভেস্ত্রে’ নামক একটি উপাদান মিশ্রিত চা খেতে দেয়া হয়েছিল। যার ফলে এরা জিভে মিষ্টি স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
এরপর অংশগ্রহণকারীরা বেশী পরিমাণে চিনি মিশিয়ে চা পান করেন।
এ গবেষণায় দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের স্বাদকোরক বা স্বাদগ্রহণকারী প্যাডগুলো ঠিক মতো কাজ করছিল না। তাই তারা অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি খেতে চাইছিলেন, যাতে তারা মনের মতো স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন।
রবিন ড্যান্ডো তার গবেষণাপত্রে জানান, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অনেকেই মিষ্টির স্বাদ না পাওয়ার কারণে বেশি বেশি করে চিনি এবং অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া শুরু করেন। ফলে শরীরে ক্যালরির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ধিরে ধিরে তাদের ওজন বাড়তে শুরু করে।
এতেই বোঝা যায়, যখন কেউ তার স্বাদগ্রহণের ক্ষমতা হারায়, তখন তিনি স্বাদ পাওয়ার আশায় আরও বেশি করে চিনি জাতীয় উপাদানের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
এ কারণেই অনেকের খাওয়ার পরিমাণও বাড়িয়ে দেন, যার পরিণতি আরও স্থুলাকার আকার ধারণ করে।
স্বাদকোরকের ক্ষমতা কমে যাওয়া গুরুতর সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ স্বাদকোরকের ক্ষমতা হ্রাসের ফলে নেতিবাচক প্রভাব পরে আমাদের শরীরে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন