মিয়ানমারের রাখাইনে এখনও নরকের পরিস্থিতি

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর চালানো জাতিগত নিধন আর সেখানকার গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ায় ওই রাজ্যের গ্রামগুলো এখন শুধুই ধবংসস্তুপ। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছাড়া সেখানে আর কেউ নেই। সেখানে পালিয়ে থাকা কয়েকজন রোহিঙ্গা এসব কথা জানিয়েছেন।

কক্সবাজারে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক থেকে কয়েক কিলোমিটার দুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ধুমধুম গ্রাম। এই গ্রামের সবচেয়ে বড় পাহাড়ের উপড় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পিলার। ওই পিলারের দু’পাশেই তমব্রু গ্রামের অবস্থান। সেখান থেকেই স্পষ্টই দেখা যায়, গত ২৫ আগস্ট সহিংসতা শুরুর পর পুরো গ্রামটিই কিভাবে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।

নারিকেল গাছগুলো বহন করছে সেই সাক্ষী। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা বলছেন, কয়েকশ’ লোকের বসবাস ছিল ওই গ্রামে। সহিংসতা শুরুর পর সবাই বাংলাদেশে পালিয়ে আসলেও মাটি আকড়ে, বিভিন্ন জঙ্গলে লুকিয়ে ছিলেন বেশ কয়েকজন অধিবাসী। তবে শেষ পর্যন্ত তাদেরও রক্ষা হয়নি। মাত্র ক’দিন আগে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এই সব রোহিঙ্গা বলছেন, তমব্রু এখন শুধুই ধ্বংসস্তুপ।

রোহিঙ্গারা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা আবার চলে যাবেন নিজেদের গ্রামে। ওই গ্রামের জিরো পয়েন্টে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন কয়েক হাজার রোহিঙ্গা।