মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য পাঠানো ত্রাণবাহী নৌকায় বৌদ্ধদের হামলা
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ বহনকারী একটি নৌকায় পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়েছে স্থানীয় উগ্রপন্থী বৌদ্ধরা। ত্রাণ নিয়ে নৌকাটি রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে যাচ্ছিল।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনা ও পুলিশ চৌকিতে ‘আরসা জঙ্গি’দের হামলার পর সেখানকার সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর হামলা শুরু করে সেনাবাহিনী। এরপর লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তবে কিছু রোহিঙ্গা রাখাইনেও থেকে গেছে।
তাদের জন্যই মূলত এ ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হচ্ছিল। রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে জানতে পেরেই এই হামলা চালায় বৌদ্ধরা। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে সেখানকার পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এবং কয়েকজনকে আটক করে।
ত্রাণবাহী ওই নৌকায় প্লাস্টিক শিট, বালতি এবং মশারি ছিল। নৌকাটি গন্তব্যে যাওয়ার পথে প্রায় তিনশ’র ব্যক্তি তা ঘিরে ফেলে। তাদের অনেকের হাতেই লোহার রড দেখা গেছে।
ত্রাণ দেওয়া সংস্থাগুলো বলছে প্রাণ বাঁচাতে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে কিংবা যারা এখনো রাখাইনে আছে- তাদের সবার ত্রাণ সহায়তা দরকার। কিন্তু মিয়ানমারের রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠানো মোটেও সহজ কাজ নয়।
রাখাইনে ত্রাণ সংস্থার কাজের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা যেমন আছে তেমনি বৌদ্ধরাও চায় না যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য ত্রাণ পাঠানো হোক।
বুধবার রাতে যখন আন্তর্জাতিক কমিটি অব রেডক্রস বা আইসিআরসি’র ত্রাণ নৌকায় তোলা হচ্ছিল তখন কিছু মানুষ সেখানে জড়ো হয়। তারাও সেখানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় দুই শতাধিক পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
আইসিআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা তাদের সাথে কথা বলেছে। তাদের জানিয়েছি, আমরা সবাইকে সহায়তা করি এবং স্বচ্ছভাবে কাজ করি।
হামলার পর ত্রাণবাহী নৌকাটি এখন সিটুয়েত নামের একটি এলাকায় অবস্থান করছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন