মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় র্যাবের গাড়িতে ডাকাতি, ৮ তরুণ আটক
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় যাত্রী ভেবে র্যাবের গাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে ৮ তরুণ আটক হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আটকদের গজারিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া উপজেলার চর বাউশিয়া এলাকায় র্যাবের গাড়িতে ডাকাতি চেষ্টার এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে র্যাবের একটি টহল গাড়ি যানজটে আটকা পড়ে। জায়গাটি ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। সে সুযোগে সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি মনে করে ১০-১২ জনের ডাকাতদল ডাকাতির চেষ্টা চালায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে হাতেনাতে আট জনকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি রামদা, তিনটি চাইনিজ কুড়াল, একটি স্টিলের তৈরি চাপাতি, একটি বড় ছোরা, একটি হাতুরি ও একটি শাবল উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকরা হলেন, গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে সুজন (২০), চর বাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের নান্নু মিয়া ছেলে রাসেল (২৭), চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মুক্তির কান্দি গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আলাউদ্দিন (১৯), পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দিঘা গ্রামের এনামুল হকের ছেলে বাদশা হোসেন দিপু (২৩), গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন বসুরচর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাব্বির (১৯), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাইটকারটেক গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান (১৯), কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মৃত শাহাজানের ছেলে মিন্টু (২৩) ও ঢাকার আলুবাজার এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে সিয়াম (১৯)।
র্যাব-১১ এর স্কোয়াড্রন লিডার (উপ-পরিচালক) এ কে.এম.মনিরুল আলম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল কাঁচপুর থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত যায়। দাউদকান্দি থেকে ফেরার পথে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন চর বাউশিয়া এলাকায় পৌঁছালে র্যাব ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী অন্ধকারাছন্ন জায়গায় যানজটে পড়ে। এ সময় সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি মনে করে ১০/১২ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির উদ্দেশে সাদা পোশাকে থাকা র্যাব সদস্যদের গাড়িটি ঘেরাও করেন। তখন র্যাব সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়া করে ডাকাত দলের দলনেতাসহ আটজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করেন। বাকিরা পালিয়ে যায়। আটকদের কাছ থেকে অস্ত্রসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আটকরা সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র এবং তাদের দলের সদস্য সংখ্যা ১২ থেকে ১৫ জন। ডাকাত দলের দলনেতা সুজন ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে আসছিল। গত দুই বছরে তারা এই মহাসড়কে অর্ধশতাধিক ডাকাতি সংঘটিত করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা স্বীকার করেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন