মুসলিম বলে বর্ণবৈষম্য, ওজিলের পাশে দাঁড়ালেন সানিয়া

বর্ণবৈষম্যর কারণ দেখিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছেন জার্মান মিডফিল্ডার মেসুত ওজিল। রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে জার্মানি ছিটকে যাওয়ার কারণ হিসাবে দায়ী করা হয়েছিল ওজিলের নিষ্প্রভ পারফরম্যান্সকে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে শেষ গ্রুপ ম্যাচে হারের পর গ্যালারিতে উপস্থিত সমর্থকদের সঙ্গে ঝামেলাতেও জড়ান আর্সেনাল তারকা।

রোববার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ওজিল জানিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিচ্ছেন তিনি। লম্বা এক বিবৃতিতে জার্মানির বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে ওজিল লিখেছেন, ‘অনেক ভাবনাচিন্তার পর আমি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিতে বাধ্য হলাম। বিশ্বকাপে আমার সঙ্গে যা হয়েছে সেটার পর আর জার্মানির হয়ে খেলব না। জার্মানির বর্ণবিদ্বেষের আবহে আমার মনে হয়েছে এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। এক সময় গর্ব হতো জার্মান জার্সি পরে মাঠে নামলে। এখন ছবিটা পুরো আলাদা। সিদ্ধান্তটা খুবই কঠিন। কিন্তু বিদায়বেলায় এটাই বলতে চাই, আমি সব সময় দেশের জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

বিশ্বকাপের আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়ে যান ওজিল। জার্মান ফেডারেশন থেকে তাঁকে সতর্কও করা হয়। যে ঘটনার কথা তুলে বিবৃতিতে ওজিল লেখেন, ‘জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের উচ্চপদস্থ কর্তারা যেমনভাবে আমার সঙ্গে আচরণ করেছেন সেটা মানা যায় না। সবাই জানে, আমি তুরস্কের বংশোদ্ভূত। তাও আমাকে রাজনৈতিক প্রচারে জড়িয়ে ফেলা হয়। আর ফুটবলে বর্ণবিদ্বেষের জায়গা নেই।’

জার্মানির হয়ে মোট ৯২ ম্যাচ খেলেছেন পাঁচবারের বর্ষসেরা জার্মান ফুটবলার। ২০১০ বিশ্বকাপে অখ্যাত তারকা হিসাবে খেলতে নেমেও টুর্নামেন্ট শেষে ওজিল হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের সেরা তারকাদের মধ্যে একজন। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ জার্মানির জয়ের পেছনে ওজিল ছিলেন অন্যতম অস্ত্র।

এদিকে, ভারতের টেনিস সেনসেশন সানিয়া মির্জা ওজিলের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘একজন অ্যাথলিটের জন্য এটা একটা দুঃখজনক দিন। তার চেয়েও বড় একজন মানুষের জন্য। মেসুত ওজিল আপনি বর্ণবৈষম্যের কথা বলেছেন, কোনও অবস্থাতেই যা মেনে নেওয়া যায় না। যদি এটা সত্যি হয় তা হলে খুব দুর্ভাগ্যজনক।’ এখনও অবধি জার্মান ফুটবল এসোসিয়েশন ওজিলের অবসর নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি।