‘মৃত’ সন্তানের কবর দিতে গিয়ে বাবা দেখলেন শ্বাস নিচ্ছে, পরে যা ঘটলো….
পিতৃদিবস বরাবর মনে রাখবেন রোহিত ট্যান্ডন,‘মৃত’সন্তানের কবর দিতে গিয়ে বাবা দেখলেন শ্বাস নিচ্ছে। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের মেটারনিটি ওয়ার্ডের নার্সরা রোহিতকে বলেছিলেন, স্ত্রী শান্তি মৃত পুত্রের জন্ম দিয়েছেন।
ভাষাহারা বাবা ধূসর নীল প্লাস্টিক শিটে মোড়া ছোট্ট শরীর কোলে নিয়ে বসে ছিলেন অনেকক্ষণ। তারপর ফোন করেন বাড়িতে, সন্তানের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে। সন্তান জন্মের জেরে দুর্বল স্ত্রী হাসপাতালেই রয়ে যান, বাড়ির লোকেরা বাচ্চা নিয়ে চলে আসেন বাড়িতে।
বাড়ি ফিরে প্লাস্টিক খুলে ‘মৃত’ পুত্রের মুখ একবার শেষবারের মত দেখতে যান রোহিত। তখনই দেখেন, ছেলে যেন একটু নড়ছে। প্রচণ্ড আনন্দ আর অবিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গেই ক্রোধ ঘিরে ফেলে তাঁকে। কী হত, যদি সন্তানের মধ্যে এই প্রাণের সাড়া তিনি খেয়াল না করতেন?
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে, তদন্তের জন্য বোর্ড গঠন করেছে তারা। ডিরেক্টর জানিয়েছেন, কারও গাফিলতি হয়ে থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাঁদের বক্তব্য, ২৪ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন শান্তি। রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ৪৬০ কিলোগ্রাম ওজনের একটি শিশুর জন্ম দেন। বাচ্চা জন্মের পর নড়েচড়েনি, কাঁদেনি দেখে তাকে মৃত বলে ধরে নেন নার্সরা। কিন্তু কেন তাঁরা কোনও চিকিৎসকের সাহায্য নিলেন না সেই প্রশ্ন উঠেছে। চিকিৎসককে না জানিয়েই প্লাস্টিকে শিশুটি মুড়ে তাঁরা তাকে তার বাবার হাতে তুলে দেন।
মা ও শিশু দুজনেই এখন ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন, তাঁদের সারাক্ষণ তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের সাফাইয়ে অখুশি ট্যান্ডন পরিবার পুলিশে অভিযোগ করেছে তাদের বিরুদ্ধে।-এবিপি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন