মেলামেশায় বাড়ে আয়ু, একাকিত্বে মৃত্যু!
মাদক, ধুমপান ও অতিরিক্ত ওজনের মতো একাকিত্বও কম বয়সীদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
একাকিত্ব কম বয়সীদের এতটাই ঘিরে রাখে যে ধিরে ধিরে তাদের শরীর ভাঙতে শুরু করে। সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেলও বেড়ে যায় এবং এর কারণে মস্তিষ্ক এবং হার্টের ওপরও মারাত্মক চাপ পড়ে।
তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই কারণ বন্ধু-বান্ধবী, সঙ্গী বা আপনজনদের সঙ্গে মেলামেশা বাড়ালে স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে।
শুধু তাই নয়, মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণে মন খারাপও কমতে শুরু করে। এটা আপনার মন ভালো করে দেয়, আর হাসিখুশি মন মৃত্যুর বদলে আপনার আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে।
সম্প্রতি একদল মার্কিন গবেষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন, সেখানে দেখা গেছে- একাকিত্ব দ্রুত আয়ু কমিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, কম বয়সে হঠাৎ মারা যাওয়ার আশঙ্কাও বাড়ায় একা থাকার অভ্যাস।
গবেষণায় দেখা যায়, অনেক কিশোর-কিশোরী বা তরুণ-তরুণী বাবা-মা বা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ পায় না। বড় শহরে পড়াশোনা, তারপর কোনো দূর দেশে চাকরি। সেই সঙ্গে চাকরির চাপে বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গেও দূরত্ব বেড়ে যায়।
এভাবে একাকিত্ব এতটাই গ্রাস করে যে ধীরে ধীরে শরীর ভাঙতে শুরু করছে। সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেল বাড়ার কারণে মস্তিষ্ক এবং হার্টের ওপরও মারাত্মক চাপ পরে। ফলে মৃত্যুর কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে তাদের জীবনে।
তবে মার্কিন গবেষক প্রফেসর জুলিয়েনা হল্টের মৃত্যুর কালো মেঘ সরাতে সঙ্গীর সঙ্গে মেলামেশার ওপর জোর দিয়েছেন।
প্রফেসর জুলিয়েনার মতে, মেলামেশা বাড়ালে স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণের কারণে মন খারারও কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের ওপর করা এই গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিনিয়ত মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন তাদের সময়ের আগে মারা যাওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়।
হয়তো চাকরি ছেড়ে বাবা-মার কাছে ফেরত যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে কফিহাউজে বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেয়া যেতে পারে।
এছাড়া মাঝে মাঝে অফিস ফাকি মেরে কোথাও একটা থেকে ঘুরে আসার প্রোগ্রামও তো বানাতে পারেন। দেখবেন এমনটা করলে একাকিত্ব অনেকটাই কমবে। জীবন নেবে এক নতুন মোড়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন