মৌখিক পরীক্ষা দিয়েই নিয়োগ পাচ্ছেন ৪০৯ চিকিৎসক

করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে দেশে অ্যানেস্থেসিওলজির চিকিৎসকের অভাব দূরীকরণে ৪০৯ জনকে শুধু মৌখিক পরীক্ষা দিয়েই নিয়োগ দিচ্ছে সরকার। চিকিৎসক নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে পরামর্শক্রমে ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট রুলস, ১৯৮১’ সংশোধন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সংশোধিত বিধিমালার প্রজ্ঞাপনের গেজেট গত ২৮ জুন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার ৪৪তম বিশেষ বিসিএসে শুধু কমিশন নির্ধারিত মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে সিভিল সার্ভিসের স্বাস্থ্য ক্যাডারে ৪০৯ জন জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিওলজি) পদে নিয়োগ দিবে।

সংশোধিত বিধিমালায় বলা হয়েছে, ‘জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিওলজি) নিয়োগ’ শিরোনামে ১৬ নম্বর বিধি যুক্ত করা হয়েছে। এ বিধিতে বলা হয়, সরকার করোনা মহামারির কারণে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কমিশন নির্ধারিত মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে সিভিল সার্ভিসের স্বাস্থ্য ক্যাডারে ৪০৯ জন জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিওলজি) পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

জুনিয়র কনসালটেন্টদের (অ্যানেস্থেসিওলজি) বয়স ৫০ বছরের বেশি হওয়া যাবে না। তাদের এমবিবিএস কিংবা বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি বিএমডিসির নিবন্ধন থাকতে হবে।

এছাড়া সহকারি সার্জন হিসেবে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা ও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পোস্ট-গ্রাজুয়েট ডিগ্রি বা ডিপ্লোমাসহ বিএমডিসি স্বীকৃত অন্যান্য সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।

এককালীন নিয়োগের জন্য এ সংশোধন আনা হয়েছে। নিয়োগের পর এ সংশোধন বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, অ্যানেস্থেসিওলজির চিকিৎসকদের শুধু মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রিলিমিনারি কিংবা অন্য কোনো পরীক্ষা হবে না। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই এ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে পিএসসি।