ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বন্যহাতির তান্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা বন্য হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

ভারতীয় সীমান্তবর্তী দক্ষিণ মাইজপাড়া ও ঘোষগাঁও ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে এখন বন্যহাতি এক আতঙ্কের নামে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ মাইজপাড়া ইনিয়নের গোবরচনা গ্রামে সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে একটি টিলার উপর প্রায় ৭০টি হাতি অবস্থান করছে। নিচে পটকা ফাটিয়ে তাদেরকে সীমান্তের অন্য পাশে তাড়িয়ে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করছে এলাকার মানুষ। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দিনের বেলায় টিলার উপর অবস্থান করে বিশাল এই হাতির পাল। রাতে লোকালয়ে নেমে এসে তাণ্ডব চালায়। উপজাতি অধ্যূষিত গোবরচনা গ্রামের ১৫-২০টি বাড়ি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে এই হাতির দল।

স্থানীয় অভ্র চিরান জানান, হাতির দল পাহাড় থেকে নেমে এসে আশেপাশের ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে ফেলেছে। বাড়িগুলোর কলাগাছ, নাড়িকেল গাছ সব শেষ করে দিয়েছে। গোলার ধানও খেয়ে শেষ করে ফেলেছে বলে অভিযোগ তাদের। স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান জানান, গ্রামের মানুষজন জীবন বাঁচাতে বাড়ি ছেড়ে একটু দূরে একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। খাদ্য ও পানীয়ের সঙ্কটে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। স্থানীয়রা আরো জানান, ভারতীয় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার আগে পর্যন্ত এ ধরনের সমস্যা হয়নি। বেড়ার কারণে হাতিগুলো ফিরে যেতে পারছে না। বিজিবিকে বলার পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

জানা গেছে, হাতিগুলো বিজয়পুর সীমান্তের সোমেশ্বরী নদী হয়ে এখানে এসেছে। পথে দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের আড়াপাড়ায় হাতির আক্রমণে বিজয়পুর গ্রামের দিনমজুর আদিবাসী বুনেষ নামের একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী প্রায় ৭০ টি হাতি ভারত থেকে নেমে এসেছে।