যশোরের ঝিকরগাছায় অপরিকল্পিত ডিভাইডার এখন রাতের মরণফাঁদ!
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছা উপজেলার লাউজানি রেলক্রসিং নামক জায়গায় অপরিকল্পিত ডিভাইডার এখন রাতের বেলায় যানবহন চালকদের জন্য মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়ককে জাতীয় মহাসড়ক বলা হয়। দেশের সর্ববৃহত স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে সরকারের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। আর এই যশোর থেকে বেনাপোল মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন দিনে এবং রাতে প্রায় কয়েক হাজার পন্য বাহী ও যাত্রীবাহী ভারী যানবহন চলাচল করে।
সম্প্রতি নতুন সড়ক নির্মানের পর, ঝিকরগাছা উপজেলার লাউজানি রেলক্রসিং নামক জায়গায় রেলগেটের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একটি ডিভাইডার স্থাপন করা হয়েছে।
যেটি স্থাপনের পরে প্রায় কয়েকদিনের ব্যাবধানে এ পর্যন্ত ওই ডিভাইডার কে কেন্দ্র করে প্রায় ৪-৫ টি দূর্ঘটনা ঘটেছে। যার সবগুলো দূর্ঘটনার শিকার পন্যবাহী ট্রাক। এসকল দূর্গটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে এই অপরিকল্পিত ডিভাইডার নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এই সড়কে নিত্য চলাচলকারী যানবহন চালকেরা।
রাস্তাটি পুনঃনির্মাণের সময় এই দীর্ঘ ৩৪ কিলোমিটার রাস্তার জায়গা ভিত্তিতে প্রসস্থতা বাড়ানো হয়েছে ২৪ ফুট থেকে ৩৪ ফুট পর্যন্ত। এবং রাস্তার দুপাশে ৫ ফুট করে সোল্ডার নির্মান করা হয়েছে। আর এই মাপের উপরেই লাউজানি রেলক্রসিংয়ে প্রায় ১ ফুটের একটি ডিভাইডার স্থাপন করা হয়েছে।
সড়কে চলাচলকারী এক ট্রাক ড্রাইভার ইমতিয়াজ বলেন, আমি গত ৩/৪ বছর ধরে এই সরকে পন্যবাহী ট্রাক চালাই। দিনে এবং রাতে এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করি। এর আগে রাস্তাটি অনেক খারাপ ছিলো। পরে নতুন নির্মানের পর এখন এই ডিভাইডার কাল হয়ে দাড়িয়েছে। ডিভাইডারে মেরে দিয়ে একটা ট্রাকের পেছনের অংশ রেললাইনের পরে থাকলে ওই মুহুর্তের ট্রেন আসলে ওই ট্রেনেরও দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
এলাকার এক বাসিন্দা জানায়, এই ডিভাইডার দেওয়ার পর আমরা প্রায়ই রাতে এখানে গুড়ুম গাড়াম আওয়াজ শুনি। সকাল হলেই দেখি কোন না কোন ট্রাক ডিভাইডারে মেরে দিয়ে পড়ে রয়েছে।
এখানে দেখা যাচ্ছে যারা সচারচর চলাচল করে তাদের জন্য এখন বেশি একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু যখনই কোন নতুন ড্রাইভার এই রোডে গাড়ি চালায় তখনই এমন দূর্গটনা ঘটে। এবং এর আগে কয়েকবার হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
এলাকাবসী ও এই সড়কে চলাচলকারী যানবাহন চালকদের দাবী এখানকার অপরিকল্পিত ডিভাইডার অপসারণ করে নিলে এই রেলক্রসিংয়ে দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটবে না।
এবিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর-যশোর এর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান মুঠোফোনে জানান, লাউজানি রেলক্রসিংয়ের জায়গাটি রেলওয়ের। এবং ডিভাইডার টি দিয়েছে রেলওয়ে। তারা ডিভাইডার টি দেবার সময় আমাদের কে অবগত করেন।
পরবর্তীতে ওখানে একাধিক দূর্ঘটনা ঘটলে আমি ছবিসহকারে রেলওয়ে কে চিঠি দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে কতৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিলে সুরহা মিলবে।
তবে এ ব্যাপারে সড়ক বিভাগ থেকে একাধিকবার রেলওয়ে কে দূর্ঘটনার ব্যাপারে অবগত করা সত্বেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বাংলাদেশ রেলওয়েকে।
এ ব্যাপারে রেলওয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা বলার উদ্দেশ্যে সরকারি ওয়েবসাইটে খোজাখুজি করে কর্মকর্তার বক্তব্য নিতে ব্যার্থ হয়েছে প্রতিবেদক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন