যশোরের বেনাপোল বন্দরে বোমাবাজির ঘটনায় বন্ধের পর পণ্য লোডিং-আনলোডিং শুরু

বেনাপোল বন্দরে হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনায় ২৮ মার্চ সোমবার বেনাপোল বন্দরে লোডিং- আনলোডিং বন্ধ থাকার পর আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দরে আবারও পণ্য লোডিং-আনলোডিং শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস পেয়ে হ্যান্ডলিংক শ্রমিকরা কাজ শুরু করে।

হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে বেনাপোল পৌর কমিশনার ও হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদের নেতৃত্বে লাল পোশাক পরা ৪০ থেকে ৫০ জন বন্দরের সামনে এসে ইউনিয়ন অফিস দখলের চেষ্টা করে। এসময় তারা প্রায় শতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে শ্রমিকরা পণ্য লোডিং-আনলোডিং কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে লোডিং-আনলোডিং শুরু হয়েছে।

বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল ভূঁইয়া বলেন, বোমাবাজির ঘটনায় ‘সোমবার রাতে রাশেদের গাড়ি থেকে একটি পিস্তল, পাঁচটি গুলি ও বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ আটজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা হয়েছে। মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

রাশেদকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে তিনি পলাতক। বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে রাশেদের ফোনে কল দেওয়া হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।