যশোরের মণিরামপুরে কাগজের কার্টুনে মিললো মৃত নবজাতক
মণিরামপুর উপজেলার বাকোশপোল গ্রামের হরিহর নদীর পাড়ে কাগজের কার্টুনের মধ্যে মোড়ানো একটি নবজাতকের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০২২) সকালে ওই গ্রামের স্থানীয় লোকজন নদীতে গোসল করতে গিয়ে নবজাতকটির সন্ধান পান। এদিকে খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নবজাতকের বাবা-মার পরিচয় মেলে।
জানা গেছে- নবজাতকটি একটি হিন্দু দম্পতির। মার গর্ভ থেকে মৃত জন্ম নেয়ায় স্বজনরা তাকে কাগজের কার্টুনে মুড়িয়ে হরিহর নদীর পাড়ে মাটি চাপা দিয়েছিলেন।
এদিন সকালে স্থানীয়রা নদীর পাড়ে গেলে মানুষের হাত দেখতে পান। পরে মাটি সরিয়ে একটি কাগজের কার্টুন দেখেন তারা। কার্টুন খুলতেই বেরিয়ে আসে নবজাতকের (ছেলে) মরদেহ।
মণিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) যোগেশ মণ্ডল বলেন- খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কাঠিপাড়া রাঢ়ুলিয়া এলাকার সুমঙ্গল দেবনাথের স্ত্রী সন্ধ্যা দেবনাথ একটি মৃত ছেলে প্রসব করেছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কেশবপুরের একটি ক্লিনিকে অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেন। সন্ধ্যা দেবনাথের বাবার বাড়ি মণিরামপুরের বাকোশপোল গ্রামে। রাতেই তার বাবার বাড়ির লোকজন কাগজের কার্টুনে মুড়িয়ে শিশুটিকে বাড়ি এনে হরিহর নদীর পাড়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখেন।
এসআই যোগেশ বলেন- সকালে নদীর পাড়ে লোকজন নবজাতকটির একটি হাত দেখতে পান। পরে তারা মাটি খুঁড়ে কার্টুনসহ শিশুটির লাশ বের করে আনেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হইচই পড়ে যায়।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিনুর ইসলাম বলেন- আমরা ঘটনাস্থলে গেলে নবজাতকের পরিচয় মেলে। আশপাশের কাউকে না জানিয়ে সন্ধ্যা দেবনাথের স্বজনরা শিশুটিকে নদীর পাড়ে মাটি চাপা দেন। বিষয়টি তারা পাড়ার লোকজনদের জানালে এ সমস্যা হতো না।
এসআই শাহীন বলেন- নবজাতকের মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী তারা শিশুটির সৎকার করবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন