যশোরের মণিরামপুরে মাছের ঘেরে কোমরে-পায়ে ইট বাঁধা অবস্থায় মালিকের লাশ উদ্ধার

যশোরের মণিরামপুরে নিজ মাছের ঘের থেকে কোমরে ও পায়ে ইট বাঁধা অবস্থায় ভোলানাথ বিশ্বাস (৬৬) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ মার্চ-২০২২) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এলাকাবাসী ঘেরের মাঝখানে ডুবন্ত অবস্থায় লাশটি পান। এরপর খবর পেয়ে সেখান থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় পুলিশ ঘের মালিকের ছেলে পরিমল বিশ্বাস ও ভাইপো দেবু বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে।

ভোলানাথ উপজেলার পাঁচাকড়ি রাজবংশী এলাকার বাসিন্দা।

যেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়েছে সে ঘেরটির অবস্থান ভোলানাথের বাড়ির পাশে।

এদিকে খবর পেয়ে মণিরামপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশেক সুজা মামুন, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমানসহ পুলিশের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ভোলানাথের ছেলে পরিমল বলেন- অন্য দিনের ন্যায় সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি-২০২২) ভোরে বাবা ঘেরের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। পরে মঙ্গলবার দুপুরে ঘেরে দড়ি টেনে বাবার লাশ উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী।

ভোলানাথের মৃত্যু হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

কোমরে ও পায়ে ইট বাঁধা দেখে স্থানীয়রা ধারণা করছেন কেউ তাকে হত্যা করে লাশ ঘেরে ফেলে গেছে।

তবে মৃতের ছেলে পরিমল সাংবাদিকদের বলেন- ব্যবসায় মন্দা যাওয়ায় কিছুদিন ধরে বাবা হতাশায় ছিলেন। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন৷

এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন- দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী ও ছেলের সাথে ভোলানাথের ভালো সম্পর্ক যাচ্ছিলো না। এছাড়া দুপুরে ঘেরে তার লাশ খোঁজার জন্য দড়ি টানতে চাইলে ভোলানাথের ছেলে পরিমল বাঁধা দিয়েছেন। এতে ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

নেহালপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুজ্জামান বলেন- নিহতের ছেলে ও ভাইপোকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে। লাশের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্ত ছাড়া কিছু বোঝা যাচ্ছে না।

মণিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী মাহবুবুর রহমান বলেন- লাশের কোমরে ও পায়ে ইট বাঁধা ছিলো। আমরা তার ছেলেসহ অনেকের কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছি। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা এখনো জানা যায়নি।