যাদের কাছে গোয়েন্দা পুলিশও ‘ফেল’
থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং রাজার ক্ষমতা কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ চলছে চার মাস ধরে। পুলিশ টের পায় না কোথায় কখন বিক্ষোভ মিছিল হবে, কিন্তু অনেক বিক্ষোভকারীর চেয়েও আগে খবর পেয়ে তারা ঠিকই হাজির হয় সেখানে! তবে তারা গোয়েন্দা পুলিশ নয়। কিন্তু এত দ্রুত কেমন করে যে বিক্ষোভের জায়গায় পৌঁছে যায় তা ভেবে থাইল্যান্ডের অনেকেই অবাক।
খবর ডয়চে ভেলের।
আসলে তারা স্ট্রিট ফুড বিক্রেতা। গত জুলাই থেকে যেখানে বিক্ষোভ সেখানেই ঝটপট হাজির হয়ে যাচ্ছেন তারা। ২৮ বছর বয়সি প্লয় ব্যাংককের রাস্তায় নিয়মিত বিক্ষোভে অংশ নেন। বেশির ভাগ সময় তার অনেক আগে খাবার বিক্রেতাদের ভ্যান নিয়ে পৌঁছে যেতে দেখে তিনি খুব অবাক, ‘‘তারা আমাদের চেয়েও আগে পৌঁছে যায় সেখানে।
’’ এত দ্রুত কিভাবে তারা বিক্ষোভ মিছিলের খবর সংগ্রহ করছেন, জানেন? মোবাইল ফোনের সহায়তায়।
গণতন্ত্রপন্থীদের কোনো অংশ যখনই নিজেদের মধ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে, সঙ্গে সঙ্গেই সেই তথ্য নিজেদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন স্ট্রিট ফুড বিক্রেতারা। ফলে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভস্থলে হেঁটে পৌঁছানোর অনেক আগে গরম, টাটকা খাবারের ভ্যান চালিয়ে গিয়ে ক্রেতার অপেক্ষা শুরু করে দেন বিক্রেতারা।
থাই পুলিশ, এমনকি অনেক বিক্ষোভকারীর চেয়েও আগে খবর সংগ্রহ করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়ার এই দক্ষতার জন্য ব্যাংককের স্ট্রিট ফুড বিক্রেতাদের নাম হয়ে গেছে ‘সিআইএ’।
সিআইএ মানে মনে নেই? সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি, অর্থাৎ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হ্যাঁ, থাইল্যান্ডের অনেকেই মনে করেন, ব্যাংককের স্ট্রিট ফুড বিক্রেতারা গোপন খবর চট করে সংগ্রহ করে ঝটপট ঘটনাস্থলে চলে যাওয়ার দক্ষতায় গোয়েন্দাদেরও হার মানিয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন