যিনি এক ভোট পেলেও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন তার তো হানিমুনে যাওয়া উচিৎ- বদি ফকির
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদিউজ্জান ফকির অন্য প্রার্থীর উদ্দেশ্য বলেন, যে এক ভোট পেলেও চেয়ারম্যান হবেন তার তো হানিমুন যাওয়া উচিৎ, সে কেন জনগণের নিকট ভোট চায়!
নির্বাচনের দিন হামিমুন শেষ করে এসে সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ থেকে ডিগলার নিয়ে যাবে। শনিবার (৪ মে) বিকালে দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে দৌলতপুর কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়।
এ উপজেলা নির্বাচনে যে এক ভোট বেশি পাবে সেই নির্বাচিত হবে। এ সব বুলি উড়িয়ে চেয়ারম্যান হওয়া যাবে না। আমরা রাজনীতি করি মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য। আমি এই জনসভায় বেশি কথা বলবো না দুই তিন টা কথা বলেই বক্তব্য শেষ করবো।
গত ১ মে আপনার জানেন আমি মিটিং শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমিনুল ইসলামসহ কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকেসহ ৪ জনের উপর হামলা করেন। হামলা করার পরে আমি বেলকুচি থানায় আশ্চয় নিলে সেখানেও ওই সন্ত্রাসী বাহিনী গিয়ে আমাদের উপর আবার হামলা করেন। ভোটে নির্বাচিত হওয়ার আগেই বেলকুচিতে তারা সন্ত্রাসী কাযক্রম চালাচ্ছে।
এই সব সন্ত্রাসীদের আপনারা ভোট দেবেন না। আপনাদের প্রতি আমার আস্থা আছে আপনারা আমার পাশে থাকবেন এবং আমার মোটর সাইকেল প্রতিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। উক্ত জনসভায় আমিনুল ইসলাম (সত্তর) সভাপতিত্বে বক্তব্য আরও রাখেন, বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব আব্দুস সালাম ফকির, দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান লাজুক বিশ্বাস।
বিশিষ্ট সমাজসেবক মাসুদ ফকির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুল হামিদ আকন্দ, সাবেক ভাঙ্গাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার ফজলুল হক ভাষানী, ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন