যুব মহিলা লীগের নেত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা!
ঢাকার সাভার উপজেলার ধামসোনা ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের এক যুগ্ম আহ্বায়ককে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে আশুলিয়া থানাধীন ধামসোনা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় ওই নেত্রীকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যুব মহিলা লীগের ওই যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইল এলাকার বখাটে সন্ত্রাসী সুমন মিয়াসহ কয়েকজন তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তিনি সে কুপ্রস্তাব প্রত্যাখান করলে গতকাল রাতে তাঁকে দক্ষিণ ভাদাইল এলাকায় একটি রাস্তার মধ্যে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীরা ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তাঁকে এলোপাতারি পিটিয়ে আহত করে এবং তাঁর গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়া থানায় সুমনকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন ওই নেত্রী। মামলা হওয়ার পরে পুলিশ ভাদাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে হিরা (২৫) ও আজাহার (৩০) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এলাকাবাসী মামলার অন্য আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে সন্ত্রাসীরা যুব মহিলা লীগের ওই নেত্রীকে হুমকি দিয়েছে বিষয়টি তিনি যদি আশুলিয়ায় থানায় জানান তাহলে তাঁকে হত্যা করে লাশ গুম করা হবে।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামি আজাহারকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আশুলিয়া থানা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিকা হাসানকে চাপ দিচ্ছেন আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার। মনিকা হাসান অভিযোগ করেন, কবির সরকার তাঁকে বার বার টেলিফোন করছেন যে আপনি থানায় বললে আজাহারকে ছেড়ে দেবে।
মনিকা আরো বলেন, ‘নেতারা যদি অন্যায়কারীদের পক্ষ নেয় তাহলে আমরা কোথায় যাব?’
মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন