যেকোনো মূল্যে বিএনপির সঙ্গে জোট গঠনে আগ্রহী যুক্তফ্রন্ট
বিএনপির সঙ্গে যেকোনো মূল্যে ঐক্য গঠনে আগ্রহী নবগঠিত যুক্তফ্রন্ট। ফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে ঐক্য গঠনে জামায়াত কোনো ইস্যু নয়। যদিও তাদের ঘোষণায় স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে বাদ দিয়েই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানানো হয়েছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াতকে সঙ্গে রাখার পরও বিএনপিকে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট ঐক্য গড়লে আদর্শিক কোনো ভিত্তি থাকবে না।
আসছে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ সরগরম ছোট কয়েকটি দলের সমন্বয়ে গঠিত যুক্তফ্রন্টের তৎপরতা। নানা জল্পনা আর আলোচনার মধ্যে শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে ৫ দফা দাবি পেশ করেন জোটের নেতারা।
যেখানে গুরুত্ব পেয়েছে সংসদ ভেঙে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি, ভোটের সময় বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন ও ইভিএমের ব্যবহার বাতিল। যুক্তফ্রন্টের এসব দাবির ৪টিরই হু্বহু মিল রয়েছে ঠিক ১১ মাস আগে ইসির সঙ্গে সংলাপে দেয়া বিএনপির ২০ প্রস্তাবের। আর নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে সে সংলাপে কোনো প্রস্তাব না থাকলেও সম্প্রতি এ ইস্যুতেও বেশ সরব বিএনপি নেতারা।
তবে যুক্তফ্রন্টের ঘোষণায় স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে বাদ দিয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেও এখন ফ্রন্টের নেতাদের কথায় কিছুটা ভিন্ন সুর। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতেরে থাকা না থাকাকে কোনো ইস্যু মনে করছেন না তারা ।
নাগরিক ঐক্য আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের জোট অনেক দিনের। তাছাড়া জামায়াতের নিবন্ধন নেই। ঐটাকে ইস্যু করে ঐক্যটার ক্ষতি করতে চাই না।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘জামায়াতের সঙ্গ না ছাড়ার পরও বিএনপির সঙ্গে ঐক্য গড়া যুক্তফ্রন্টের ঘোষণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ‘এরা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে তাহলে বড় বাধা হবে স্বাধীনতা বিরোধী।’
জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না ঘটিয়ে শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন