যেভাবে ফুটবলভক্ত থেকে দুর্ধর্ষ জঙ্গি হয়ে উঠে ব্রিটেনের সালমান!
ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারী সালমান আবেদি কৈশোরে ছিলেন এক ফুটবল উন্মাদ তরুণ। ভিডিও গেমেও আসক্তি ছিল ব্রিটেনে বেড়ে ওঠা এই তরুণের। কিন্তু ২০১১ সালে পাল্টে যেতে থাকে পরিস্থিতি। তার বাবা চাকরি ছেড়ে দিয়ে লিবিয়ায় চলে যান।
সেখান থেকেই শুরু! তার চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আসতে শুরু করে। ক্রমেই উগ্র মানসিকতা ধারণ করতে থাকে সালমান। ফুটবলভক্ত থেকে হয়ে ওঠে দুর্ধর্ষ জঙ্গি। বন্ধু ও প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে এমনটাই জানাচ্ছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।
ম্যানচেস্টারের আর দশটা সাধারণ কিশোরের মতোই ফুটবল পাগল ছিল সালমান। সে ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বড় সমর্থক। এছাড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা বুঁদ হয়ে থাকতো কম্পিউটার গেমসে।
স্থানীয় এক ইমাম ডেইলি মেইলকে জানিয়েছেন, তার বাবা পরিবারকে অসহায় অবস্থায় রেখে লিবিয়া চলে যান। এ সময় সালমান ও তার ভাই সিরিয়ার জঙ্গিদের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করতে থাকে। ম্যানচেস্টারে হামলার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই তার ভাই ইসমাইলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
পেশায় একজন আইটি ম্যানেজার ইসমাইলের স্ত্রী গণিতের শিক্ষক। জানুয়ারির আগে ইসমাইল একটি বেকারিতে কাজ করতেন। বর্তমানে ডিসবারি মসজিদের কোরআন স্কুলে আইটি সাপোর্ট ও আরবি ক্লাস নেওয়া ইসমাইলের বিরুদ্ধে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটে অভিযোগ উঠেছিল।
ডিসবারি মসজিদ এলাকায় খুবই পরিচিত সালমানের পরিবার। মসজিদের খুব কাছেই দেড় লাখ পাউন্ডের বাড়িতে বাস করেন তারা। এক সূত্র জানায়, একজন এন্টি-টেরর কর্মকর্তা সালমানের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সালমান রাজি হয়নি। ডিসবাড়ি মসজিদের ইমাম বলেন, ‘সালমান খুবই ঝামেলা করতো। সে খোলা বারুদের মতো। আমরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘সালমান মাঝে মাঝে মসজিদে আসতো। কিন্তু আমার আইএসবিরোধী মনোভাবের কারণে তার সঙ্গে খুব একটা ভালো সম্পর্ক ছিল না আমার। এজন্য সে মসজিদে খুবই কম আসতো।’ কনসার্টে হামলার আগে সালমান শুধু বাড়িতেই নামাজ পড়তো বলে জানিয়েছেন তার এক প্রতিবেশী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন