যে কারণে তিন ছেলেকে খুন করালো বাবা!
নিজের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্য ভাইকে দিয়ে নিজের তিন শিশু ছেলেকে গুলি করে খুন করালেন বাবা। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে গত ১৯ নভেম্বর ভারতের হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র জেলায়।
শুধু খুনই নয়, খুনের পর তিন সহোদরের মরদেহ পাঁচকুলার মোর্নি ফরেস্টে ফেলে দেয়া হয়। গত ২১ নভেম্বর নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা তিন সহোদর হলো- সমীর (১১), সীমরণ (৮) এবং সমর (৩)। এদিকে খুনের অভিযোগে জগদীপ মালিক (২৬) এবং শিশুদের বাবা সনু মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কুরুক্ষেত্র পুলিশ সূত্র জানায়, জেলার পেহলা ব্লকের সারসা গ্রামের বাসিন্দা সনু কাইঠালে একটি স্টুডিও চালায়। গত ১৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাঠে খেলতে যায় তিন সহোদর। এসময় চাচা জগদীপ নিজের গাড়িতে তাদের পিছু নেয়। পরে ওই মিশুদের গাড়িতে উঠিয়ে কুরুক্ষেত্রের গীতা জয়ন্তী মহোৎসবে যাওয়ার জন্য তাদের চাপ দেয়া হয়। কিন্তু সেখানে না নিয়ে গিয়ে গ্রাম থেকে ১১০ কিমি দূরে মোর্নি ফরেস্টের একটি নিরিবিলি জায়গায় গাড়িটি দাঁড় করায় জগদীপ।
পরে গাড়ি থেকে সমীরকে নামতে বলে চাচা জগদীপ। সেসময় বাকি দুই ভাইকে গাড়িতে রেখে মিউজিক সিস্টেমের আওয়াজও বাড়িয়ে দিয়ে প্রায় ৫০ ফুট দূরে জঙ্গলে নিয়ে সমীরকে গুলি করে হত্যা করে জগদীশ। এভাবে সিমরনকে খুন করা হয়। এরপর সমরকে আড়াই কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে খুন করে জগদীপ।
এদিকে ওই দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ ছেলেরা ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাদের মা। গ্রামবাসীদেরও সতর্ক করা হয়। পরে তিন সহোদরকে খুঁজে না পাওয়ায় পুলিশকে জানানো হয়। সন্ধ্যার দিকে জগদীপ এবং রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ শিশুদের বাবা সনু বাসায় ফিরে। এসময় ভাতিজাদের খুঁজে না পাওয়ায় পুলিশকে জগদীপ হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ।
পরে যেকোনো সূত্র ধরে ২০ নভেম্বর রাতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জগদীশ এবং সনুকে থানায় ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জগদীপ এবং খুনের ঘটনা স্বীকার করে এবং এর জন্য ভাই সনুকে দায়ী করে।
কুরুক্ষেত্রের পুলিশ সুপার অভিষেক গর্গ জানিয়েছেন, জগদীপ খুনের ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছে। একইসঙ্গে খুনের ঘটনায় সনু মালিকের যুক্ত থাকারও দাবি করেছে সে।
এদিকে খুনের ব্যাপারে পুলিশ কোনো তথ্য না দিলেও ওই মিশুদের দাদা জিতা মালিক জানিয়েছেন, সনুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। নাতীদের খুনের জন্য এই ঘটনাকেই দায়ী করেছেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন