যে কোনো বয়সে সরকারি চাকরির পক্ষে অর্থমন্ত্রী

যে কোনো বয়সে যে কেউ সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারবে-এমনটি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বুধবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশ বয়স ৩২ বছর করার ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব দেবে- এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো আপত্তি নেই। আমার মতে সরকারি চাকরি হওয়া উচিত কন্ট্রাক বেসিসে (চুক্তিভিত্তিক)। যে কোনো বয়সে যে কেউ চাকরি পাবে।’
এ বিষয়ে আপনাদের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা আমার ছিল। আমি প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। কিন্তু ওইটা বাস্তবায়ন হয়নি। আমার মনে হয় নির্বাচনের আগে এসব ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আসবে না।’
জানা গেছে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার সুপারিশ করেছে। এর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
এ বিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আলোচনা হচ্ছে, প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি, খুব তাড়াতাড়ি হবে। খুব তাড়াতাড়িই জানতে পারবেন।’
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশে অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনা শেষ করেছেন। এখন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব তৈরির কাজে হাত দেবে। বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চাকরিতে প্রবেশের বয়স দুই বছর বাড়তে পারে বলেও আভাস পাওয়া গেছে।
২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবসরের বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়। তবে অধ্যাদেশ জারির কারণে তা ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।
এছাড়া গত বছরের ২১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৬০ বছর করার ঘোষণা দেন।
অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর পর চাকরিতে প্রবেশের বয়সও বাড়ানোর দাবি ওঠে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে। এ নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেন তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















