যে ৭ উপজেলা চেয়ারম্যানের এমপি প্রার্থিতা স্থগিত

পদত্যাগের চিঠি গৃহীত হওয়ার আগেই সংসদ সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় সাত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রার্থিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

এই সাতজনের মধ্যে পাঁচজন বিএনপির ও বাকি দুজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।

নির্বাচনের ৯ দিন আগে মঙ্গলবার আলাদা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজহীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

শাহ মঞ্জুরুল বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগপত্র দাখিল করলেও তাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় আদালত এ সাত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র স্থগিত করে দিয়েছেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাজু বলেন, হাইকোর্টের আদেশের ফলে এই সাতজন আপাতত নির্বাচন করতে পারছেন না।

কাজল সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন তারা।

এই সাতজনের মধ্যে বিএনপির প্রার্থী রয়েছেন- রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ চাঁদ।

জামালপুর-৪ আসনে সরিষাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম। ওই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুরাদ হাসান তার বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেন।

জয়পুরহাট-১ (জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি) আসনে জয়পুরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল আলম তার বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেন।

ঝিনাইদহ-২ আসনের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবদুল মজিদ। তার বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেন ওই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেন ওই আসনের ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি জসিম উদ্দিন।

বাকি দুজন হলেন ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন।

যিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ওই আসনের মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম তার বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেন।

রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবলু। তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেন ওই আসনে মহাজোটের প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ।