‘যৌনতা আর নারীতেই মগ্ন আইএস’
ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা যৌনতা আর নারী নিয়েই অধিকাংশ সময় মগ্ন থাকে বলে দাবি করেছেন আইএসের সাবেক স্ত্রীরা। এই নারীদের ইসলামের কথা বলে আইএসে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল। পরে আইএস জঙ্গিদের কার্যকলাপে তাদের ধারণা পাল্টে যেতে থাকে। এখন ভুল ভাঙলেও নিজেদের দেশ থেকে ফিরিয়ে না নেয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
আইএসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশ ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমানো এই নারীদের সঙ্গে কথা বলেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। ফ্রান্সের এক বিধবা, সিরিয়ার ইংরেজির শিক্ষক ও ইন্দোনেশিয়ার তিন বোনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে মার্কিন এই প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম।
সিরিয়ার ওই শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, মরক্কোর এক জঙ্গির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তার সঙ্গেই তুরস্ক হয়ে রাক্কায় পৌঁছান তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার ওই তিন বোনকে উচ্চশিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আইএসে যোগ দিতে উদ্ধুদ্ধ করা হয়। তবে আইএসে যোগ দেয়ার অল্পদিনের মধ্যে তাদের ধারণা বদলাতে থাকে। তাদের চোখে পড়ে, আইএস জঙ্গিরা সবসময় যৌনতা আর নারীদের নিয়েই মত্ত থাকে।
সাদিয়া, ফ্রান্সের দক্ষিণ থেকে এসেছেন; মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট রাক্কায় অভিযান চালানোর সময় সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি। এর আগে একরকম যৌনদাসী হিসেবে দিনাতিপাত করছিলেন তিনি। অনেক নারীর অভিযোগ, আইএসের অর্থায়নের জন্য তাদেরকে মাদক চোরাচালানেও বাধ্য করা হয়।
সাদিয়া বলেন, ‘সবসময় মাথায় একটাই চিন্তা ছিল, আমি পালিয়ে যাব। আমার ব্যবহৃত গাড়ি নিয়ে ফিরে যাব নিজের জন্মভূমিতে।’
বর্তমানে ১৪ মাসের শিশু নিয়ে সিরিয়ার জেলে আটক আছেন তিনি। তার স্বামীও জঙ্গি ছিলেন, নাম ইয়াসিন। মাদক পাচারের জন্য তারা ছয় হাজার ডলার পেতেন। সাদিয়ার অার তার সন্তানকে ফেলে মাদক পাচার করতে গিয়ে ইয়াসিন ইতোমধ্যে মারা গেছে।
ইসলামের নামে বহু নারীকে আইএসের খপ্পরে পড়তে দেখেছেন সাদিয়া। অনেকেরই ধারণা ইসলামি মন-মানসিকতার কোনো মানুষের সঙ্গে তারা জীবন কাটাতে যাচ্ছেন। অথচ রাক্কায় পৌঁছার পর তাদের সবারই ধারণা বদলাতে থাকে। তারা অন্যরকম বাস্তবতা অবলোকন করতে থাকেন।
সেখানে পৌঁছার পর কোনো নারীই নিজেকে যৌনবস্তু ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারবে না। নারীদের সঙ্গে একেবারে বিভৎস আচরণ করা হয় সেখানে। কেবল যৌনতার জন্য এক নারীকে ছয়বার পর্যন্ত তালাক আর বিয়ে দেয়া হয়।
ইংরেজির ওই শিক্ষক বিলাল নামের এক জঙ্গির প্রেমে পড়ে রাক্কায় এসে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তবে ওই তিন বোনের কাহিনী একটু ব্যতিক্রম। তারা রাক্কায় এসেছেন, উচ্চাভিলাসী সুযোগ-সুবিধার আশায়। তবে সেখানে পৌঁছার পর আইএস জঙ্গিদের মুসলমান বলেই মনে হয়নি তাদের।
সূত্র : সিএনএন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন