রংপুরে বিএনপি দ্বিতীয়ও হতে পারবে না : হাছান
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি দ্বিতীয় স্থানেও থাকতে পারবে না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ। বিষয়টি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের অজানা নয় বলেও মনে করেন হাছান। বলেন, এই বিষয়টি বুঝতে পেরেই বিএনপি আগেভাগেই নানা অভিযোগ করে রাখছে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ কথা বলেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন।
হাছান বলেন, ‘ফখরুল সাহেব মনে হয় বুঝতে পারছেন এ নির্বাচনে তাদের প্রার্থী দুই নম্বরও হতে পারবেন না। এ কারণে আগে থেকে তিনি উল্টা-পাল্টা কথাবার্তা বলতে শুরু করেছেন।’
আগামী বৃহস্পতিবার বিভাগীয় শহর রংপুরে ভোট হবে। পাঁচ বছর আগে এখানে জিতেছিল আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। আর বিএনপি সমর্থিত প্র্রার্থী তখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেও আসতে পারেননি।
তবে এবারের ভোটে বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামান বাবলার পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল। আর ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা যেন তা ছিনিয়ে নিতে না পারে, সে জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
তবে রংপুরে জয়ের আশা বাদ দিয়ে বিএনপিকে সময় নষ্ট না করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হাছান। বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছর নির্বাচন হবে। আমরা চাই সব দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।’
‘আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য দুপুর বেলায় বট গাছের নিচের ভূতের মতো’ বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যেরও জবাব দেন হাছান। বলেন, ‘আমি ভূতের গল্প শুনেছি ছোটবেলায়। তবে কখনো ভূত দেখিনি। তবে রিজভীকে বলবো ভৌতিক সিনেমার বাস্তর রূপ হচ্ছেন আপনার নেত্রী খালেদা জিয়া।’
আলোচনায় বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামও। তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে বলব, অহেতুক মিথ্যাচার ও উদ্ভট দাবি দাওয়ার কথা বলে সময় নষ্ট করবেন না। আগামী বছর বিজয়ের মাসে জাতীয় নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।’
জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় বিএনপির নির্দলীয় সরকারের দাবি মানা হবে না জানিয়ে কামরুল বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। আর সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবিধানের বাইরে একচুল যাওয়াও সম্ভব নয়।’
কামরুল বলেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির মধ্যে। স্বপক্ষের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর বিপক্ষের শক্তির নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।’
‘আমরা বিশ্বাস করি উন্নয়নের চাকাকে চলমান রাখতে মানুষ শেখ হাসিনাকে আবারও ভোট দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাবে। বিএনপি আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না জেনে এখন থেকে মিথ্যাচার শুরু করেছে।’
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন