পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়

রড ছাড়াই চলছে এলজিইডি’র নির্মাণ উন্নয়ন কাজ

মাটি যুক্ত বালু আর নিন্মমানের র্নিমান সামগ্রী দিয়েই চলছে কলাপাড়ার নীলগজ্ঞ ইউপির প্রায় ৯শ’ মিটার কার্পেটিং সড়ক উন্নয়ন নির্মান কাজ। এছাড়া ড্রেনেজ নির্মাণে রডের ব্যবহার করার কথা থাকলেও তা ব্যবহৃত হয়নি এক ইঞ্চিও।

স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, নির্মাণ কাজে রডের ব্যবহার না করায় সাধারণ ভার বহনেই ভেঙ্গে পড়তে পারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা।

এদিকে তদারকি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বলছে, তাদের না জানিয়ে কাজ করছে প্রভাবশালী এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তথ্যানুযায়ী , ৯২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৭শ’ ৮ টাকার প্রকল্প ব্যায় ধরে উপজেলার নীলগজ্ঞ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে কুমিরমারা গাজী বাড়ি পর্যন্ত ১২ ফুট প্রস্থের ৮৮৪ মিটার কার্পেটিং রাস্তা নির্মান কাজ শুরু করা হয়। ৮৭ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮শ’৭২ টাকা চুক্তিমূল্যে ২টি ইউ ড্রেনসহ ১০ইঞ্চি বালু, ৬ইঞ্চি বালু ও খোয়ার মিশ্রন, ৬ইঞ্চি খোয়া, ২৫ মিলিমিটার কার্পেটিং এবং ৭ মিলিমিটার সিলকোট দিয়ে এ রাস্তার ঠিকাদারী পেয়েছে মেসার্স পটুয়াখালী ফার্মস। স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরুতেই রড ছাড়া ড্রেনেজ নির্মাণ আর বাজে ধরনের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।

কুমিরমারা এলাকার কৃষক আবদুল জলিল জানান, গুনগত মানের ইট ও রড ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তা ও ড্রেনের পাইলিংয়ে ব্যবহার করছে নিন্ম মানের ইট। রডের ব্যবহার ছাড়াই র্নিমান করছে ইউ ড্রেন। ১০ ইঞ্চির পরিবর্তে ব্যবহার করছে ৭ ইঞ্চি বালু।

তিনি আরো বলেন, এলজিইডি থেকে নিন্মমানের ইট সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হলেও তা দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ইউ ড্রেন ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশনা দিলেও তা করেনি প্রভাবশালী ঠিকাদারের নিযুক্ত কর্মচারীরা।

এদিকে মেসার্স পটুয়াখালী ফার্মস ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার জাফর তালুকদার বলেন, ওই প্রকল্পে কোন ধরনের নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। তবে ড্রেন নির্মাণে রড ব্যবহার করা হয়নি কেন জানতে চাইলে বলেন, ওটা আমার মিস্ত্রী ভুল করেছে ভেঙ্গে নতুন করে করা হবে।

কলাপাড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মোহর আলী বলেন, এলজিইডিকে অবহিত না করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। মজুদ নিন্মমানের ইট প্রকল্পের ব্যবহার না করাসহ সরিয়ে নেয়া এবং ইউ ড্রেন ভেঙ্গে তফসিল অনুযায়ী করার জন্য মৌখিক নির্দেশনাসহ অফিসিয়ালি চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। যদি সঠিক কাজ না করে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।