‘রমনাসহ রাজধানীজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়’
নববর্ষের অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের ধূমপান থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠানস্থল সম্পূর্ণ ধূমপানমুক্ত রাখা নিশ্চিত করতে কাজ করবে নিরাপত্তাকর্মীরা। এজন্য সব অনুষ্ঠানস্থলে সক্রিয় থাকবে ডিএমপির মোবাইল কোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, রমনার বটমূলের অনুষ্ঠানে ১১ পয়েন্ট দিয়ে আগতরা প্রবেশ করবে। পুলিশের পক্ষ থেকে আগত সবাইকে ফুল ও বাতাসা দিয়ে বরণ করা হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে ৮ পয়েন্টে আগতদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থাও থাকছে। আগতরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেচে-গেয়ে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন মহানগর পুলিশপ্রধান।
ডিএমপিপ্রধান বলেন, রমনা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহবাগ, টিএসসি ও আশপাশের এলাকা ঢাকা থাকবে নিরাপত্তার চাদরে। পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ। থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, টহল ডিউটি, ফুট প্যাট্রোলিং, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার। আরো থাকবে পুলিশের সাব কন্ট্রোল রুম, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম, পুলিশ ব্লাডব্যাংক ও প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র, ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ফায়ার টেন্ডার, অ্যাম্বুলেন্স ও নৌপুলিশের ডুবুরি দল। এ ছাড়া গোটা এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। সব দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও ম্যানুয়ালি চেকিংয়ের পর অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানস্থলে এবার আরো থাকছে পুলিশের ইভাকুয়েশন প্ল্যান। যেকোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় এই ইভাকুয়েশন প্ল্যান কাজ করবে। তাৎক্ষণিক কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে প্রস্তুত থাকবে অ্যাম্বুলেন্স।
এ ছাড়া হাইকোর্ট মোড়, মৎস্য ভবন, বকশীবাজার, শাহবাগ, নীলক্ষেত মোড়, চানখাঁরপুল ও কাঁটাবনে ব্যারিকেড থাকবে। এর ভেতরে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
তিনি জানান, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের অনুষ্ঠান চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। অন্যসব উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। তবে বাড়ির আঙিনায়, ছাদে অনুষ্ঠানে কোনো বাধা নেই।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, একই দিনে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব শবে মেরাজ। ধর্মীয় চেতনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্ধারিত সময়ে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষ করার আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে। মঙ্গল শোভাযাত্রার সামনে, পেছনে ও দু’পাশে পুলিশের কর্ডন থাকবে। কেউ মাঝরাস্তা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ঢুকতে পারবে না। শোভাযাত্রায় কেউ মুখোশ পরতে পারবে না। বাজাতে পারবে না ভুভুজেলা। এ ছাড়া কোনো কোম্পানিকে তার পণ্যের বা কোম্পানির বিজ্ঞাপন মঙ্গল শোভাযাত্রায় ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লাখো লোকের সমাবেশ ঘটে বর্ণিল এই আয়োজনে। দুষ্কৃতকারীদের অপ্রীতিকর বা নাশকতার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন