রাজধানীতে আজও রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা
ঢাকায় আজও রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। ফার্মগেট এলাকায় সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। ফলে ওই রাস্তা নিয়ে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। মোহাম্মদপুরে শিক্ষার্থীরা সকাল ৯টার দিকে মিছিল বের করেছে। গতকালের মতো সারা ঢাকায় আজও বাস কম দেখা যাচ্ছে।
মোতাসিম বিল্লাহ বাসস্ট্যান্ডে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে। কোনো বাস নেই। মিরপুর ১২ নম্বরের বাসা থেকে সকাল ৮টায় দিকে বের হয়েছেন। গুলিস্তান যাবেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে একটি দোকানের কর্মকর্তা তিনি। সময়মতো না গেলে দোকান খোলায় দেরি হয়ে যাবে। শুধু তিনিই নন, এমন আরও অনেকে কর্মস্থল বা গন্তব্যে যেতে বাসের অপেক্ষায় সময় গুনছেন।
বুধবার সকালে পুরো ঢাকার মিরপুর ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেল। বাস নেই। দু-একটা বাস চলছে, তবে যাত্রীদের ভিড় অনেক বেশি। অফিসমুখী যাত্রী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটে ও রিকশায় যেতে হচ্ছে। রাজপথের সড়ক ফাঁকা। তবে দূরপাল্লার বাস চলতে দেখা গেছে।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গত দুদিন ধরে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পুরো ঢাকা প্রায় স্থবির। গতকাল মঙ্গলবার উত্তরা এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সকাল থেকে রাস্তায় বাস চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে কম। মিরপুর থেকে যেতে যেতে গাবতলী, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মহাখালী সব জায়গাতেই বাসস্ট্যান্ডগুলোতে অসংখ্য মানুষকে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
গাবতলীর ট্রাফিক সার্জেন্ট সোহেল রানা সকাল ৯টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বাসের সংখ্যা অনেক কম।’ জানা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকে পুলিশ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছে। ছাত্রদের ফেরত পাঠাতে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের প্রিন্সিপাল ও শিক্ষককে নিয়ে আসতে গিয়েছে পুলিশ।
শাহবাগ এলাকায়ও অন্যান্য দিনের তুলনায় কম বাস চলতে দেখা গেছে। শাহবাগ জোনের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার শাহেদ আহমেদও জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বাস চলাচল করছে খুব কম।
কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বাস চলাচল কম হচ্ছে কেন, তাঁরা জানেন না। বাস শ্রমিক বা মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে আবদুল্লাহপুর থেকে মোহাম্মদপুর রুটে চলাচলকারী জাবালে নূর পরিবহন লিমিটেডের একটি বাস সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ও একই কলেজের ছাত্রী দিয়া খানম নিহত হন। গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন