রাজধানীতে আবাসন ব্যবসায়ী খুন

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক আবাসন ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ব্যবসায়ী আবুল খায়ের সজীব বিল্ডার্স নামে একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের মালিক। শুক্রবার সকালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এন ব্লকে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।

কে বা কারা কেন এ খুন করেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ব্যবসায়িক বা অন্য কোনো বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।

ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, ব্যবসায়ী আবুল খায়ের বসুন্ধরা আবসিক এলাকার এফ ব্লকে থাকতেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে তিনি আর ফেরননি। সকালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এন ব্লকের একটি নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ব্যবসায়ী আবুল খায়েরের স্ত্রী রুপালী আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে তার স্বামী বাসা থেকে বের হন। সাধারণত অন্য সময়ে তিনি রাত ৮টার মধ্যেই বাসায় ফেরেন। তবে বৃহস্পতিবার রাতে বাসায় না ফেরায় রাত ৮টার পর থেকে আবুল খায়েরের মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়েও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এরপর রাতভর তিনি পরিচিত জায়গাগুলোতে খোঁজ নেন। কিন্তু কোথাও স্বামীর খোঁজ পাচ্ছিলেন না। রাতে ভাটারা থানাকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়। ভোরে অন্য স্বজনরাসহ আবাসিক এলাকার বিভিন্ন জায়গা খুঁজতে গিয়ে তাদের নির্মাণাধীন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।

নিহত ব্যবসায়ী আবুল খায়েরের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচরের পূর্বচরবাটা ইউনিয়নে। তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এফ ব্লকের ২১ নম্বর রোডের ৬৯২ নম্বর বাসার জালাল গার্ডেনের আট তলায় স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকতেন। তার ছোট ভাই সুবর্ণচর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী বাবলু সমকালকে বলেন, তার বড় ভাইয়ের দুই মেয়ে, এক ছেলে। বড় মেয়ে মেডিকেলে পড়ে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারিয়ে সবাই বাকরুদ্ধ। তিনি তার ভাই হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন।