রাজধানীর বদরুন্নেসা মহিলা কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন আহত হয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খাদিজা ইসলাম ও তার সহযোগীদের নির্যাতনে দুই শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে রাত ৩টা নাগাদ চকবাজার থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের ঘটনার পরপরই পুলিশ কলেজের মূল ফটকে অবস্থান নেয়। এরপর পরিস্থিতির অবনতি হলে পুলিশের একটি দল ভেতরে প্রবেশ করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাষ্য, তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খাদিজার সঙ্গে থাকেন। খাদিজা হোস্টেল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার সাইমুনের অনুসারী। সাইমুন তার অনুসারীদের সভাপতির গ্রুপের নেত্রীদের সঙ্গে মিশতে দেন না।
মাহমুদা বলেন, ঘটনার সময় আমি অন্য রুমে সিনিয়র আপুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম। আড্ডা শেষে রুমে ফেরা মাত্রই মহুয়া আক্তার আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। এরপর রুমের আলো নিভিয়ে খাদিজা আক্তার আমাকে মারধর করে। মারধরের ফলে আমি অচেতন হয়ে পড়ি। পরে অন্য সিনিয়র আপুরা আমাকে উদ্ধার করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত খাদিজা ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি একে মিথ্যা বলে দাবি করেন। এ ঘটনাকে নাটক বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ফোন দিলেও তিনি কল ধরেননি।
তবে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কলেজ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তিলোত্তমা শিকদার বলেন, বদরুন্নেসা কলেজে সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। পরে কলেজ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
চকবাজার থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বদরুন্নেসা কলেজে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে তাদের দু’জন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও কলেজ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন