রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সকল বিড়ি বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন; কাস্টমস অফিস ঘেরাও
রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সকল বিড়ি বন্ধ করাসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন ও কাস্টমস অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী অঞ্চল বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাজশাহী বিভাগীয় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে বিভাগীয় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের কমিশনার বরাবর ছয় দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
শ্রমিকদের দাবি গুলো- রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সকল বিড়ি বন্ধ করা, যাচাই-বাছাই ব্যাতিরেকে (অনলাইন) লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করা, বিড়িতে শুল্ক কমিয়ে শ্রমিককের মজুরী বৃদ্ধি করা, সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ করা, বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করা এবং তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের ব্যবসায়ী ও দোকানীদের লাইসেন্সের আওতায় না এনে শুধুমাত্র পরিবেশক/ডিলারদের লাইসেন্সের আওতায় আনা।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কতিপয় অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ী বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে কমদামে বিড়ি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে আর প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি শিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকোর দালালরা দেশের বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসে নানা পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে বিড়িতে অগ্রীম আয়কর ১০ শতাংশ আর সিগারেটে ৩ শতাংশ। বিড়ির উপর থেকে এই বৈষম্যমূলক অগ্রীম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, শ্রমিকদের অন্নসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম বিড়ি শিল্পে শুল্ক কমিয়ে বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিককের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে। সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে অর্থাৎ শ্রমিক শেড, গোডাউন, অফিস ছাড়া অস্তিত্বহীন বিড়ি কারখানার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এছাড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীতে প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের ব্যবসায়ী ও দোকানীদের লাইসেন্সের আওতায় না এনে শুধুমাত্র ডিলার/পরিবেশকদের লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন