রাতে জ্যান্ত হরিণ-কুমিরের চামড়া পাচার, ওরা কারা?

রাত ৯টা বাজে বাজে। ঘুটঘুটে অন্ধকার। কানে ভেসে আসছে বন্য শিয়ালের ডাক। এরই মাঝে হঠা নৌকা বেয়ে চলার ছলাৎ ছলাৎ শব্দ।
এত রাতে নৌকায় কারা, চিৎকার বনরক্ষীদের। তাদের হাকডাকে যেন থেমে গেল নৌকার গতি। টর্চলাইট মারতেই খালে লাফ নৌকায় থাকা তিনজনের। খাল সাঁতরে বনে চলে যান তারা।
পরে নৌকা তল্লাশি করে মেলে একটি জ্যান্ত হরিণ ও চারটি কুমিরের চামড়া। মূলত সুন্দরবনের সম্পদ রাতে পাচার করছিল এই চক্রটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনার সময় উপস্থিত এক বনরক্ষী রোববার রাতে এসব তথ্য জানান।
এ ঘটনায় বনবিভাগের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন থেকেই গেছে, মাত্র দু’তিনজন মানুষ কীভাবে কুমির ধরে, মারার পর শরীর থেকে চামড়া ছড়াচ্ছেন কিংবা হরিণ ধরে পাচার করছেন? এর পেছনে বড় গ্যাং জড়িত, তাদের কী বনবিভাগ খুঁজে বের করতে পারবে?
জানতে চাইলে চাঁদপাই রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহিন কবির বলেন, ‘হ্যাঁ, ঘটনা সত্য। শনিবার রাত ৮-৯টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের হরিণটানা ক্যাম্পের নিকটবর্তী দুধমুখী খাল থেকে পাচারের সময় একটি হরিণ ও ৪টি কুমিরের চামড়া উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। এ ব্যাপারে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে রোববার সকালে বন আইনে একটি ইউডিওআর মামলা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘উদ্ধার করা হরিণের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রোববার সকালে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর কুমিরের চামড়াগুলো পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে শাহিন কবির বলেন, ‘আমরা জড়িতদের সনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছি। খুঁজে পেলে বন আইনে ‘পিওআর’ মামলা করা হবে।’ পরিবর্তন ডটকমের সৌজন্যে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন



















