রানআউটেই প্রতিশোধ নিলেন সাকিব
এশিয়া কাপে টিকে থাকার ম্যাচে বাংলাদেশকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর ইমরুল কায়েস। তাদের ব্যাটে ভর করেই আফগানিস্তানকে ২৫০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁরে দিয়েছে টাইগাররা। এবার কাজ বোলারদের। বল হাতে সেই কাজটি শুরু করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই আফগান ওপেনর ইহসানউল্লাহকে ফিরিয়ে দিলেন এই কাটার মাস্টার। এরপর রহমতকে রানআউট করে প্রতিশোধ নিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট করতে নেমে রানআউটের শিকার হয়েছিলেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) আবুধাবিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে সেই পুরোনো রোগই ফিরেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। এ ম্যাচেও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি ওপেনিং জুটি। নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে পরশু থেকে কম আলোচনা হয়নি। শান্ত-লিটনের ওপর আস্থা রাখা যাচ্ছিল না দেখে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট দেশ থেকে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। দু’জনের মধ্যে শুধু ইমরুল সুযোগ পেয়েছেন মোসাদ্দেকের জায়গায়।
লিটন-শান্তকে আবার সুযোগ দেওয়া হলো। কিন্তু শান্ত সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলেন কোথায়? টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ। দলের রান তখন ১৬। কি মনে করে অযাচিতভাবে আফতাব আলমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল উঁচুতে তুললেন শান্ত সেটি তিনিই ভালো জানেন। ক্যাচটি নিতে রহমত শাহর কোনও অসুবিধাই হলো না।
অথচ এই শান্তকে দলে নেওয়া হয়েছিল ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুন পারফরম্যান্সের জন্য। গত ঢাকা প্রিমিয়ারের সুপার লিগে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু শান্ত বোঝালেন ঘরোয়া ক্রিকেট আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এক নয়। প্রমাণ হিসেবে তাঁর এশিয়া কাপে তিনটি ইনিংস দেখুন, ৭,৭ ও ৬।
শান্ত আউট হওয়ার পর মোহাম্মদ মিঠুন মুজিব-উর-রহমানের বলে এলবিডব্লু হয়ে গেলেন মাত্র ১ রান করে। ১৮ রানে নেই ২ উইকেট। উইকেটে সেট হয়েও রশিদ খানকে যেভাবে মারতে গেলেন লিটন সেটা অন্যায়। নিজের উইকেটটি দিয়ে তাঁর প্রায়শ্চিত্তও করলেন। তার আগে খেললেন ৪৩ বলে তিন চারের সৌজন্যে ৪১ রানের ইনিংস।
লিটন আউট হওয়ার পরই বাংলাদেশ যেন পড়ল রান আউটের ফাঁদে। যার প্রথম শিকার সাকিব আল হাসান (০)। সামিউল্লাহ শেনওয়ারি সরাসরি থ্রোতে উইকেট ভেঙে দেন। এক ওভার বাদেই ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়লেন দুরন্ত ব্যাট করতে থাকা মুশফিক(৩৩)। ৮৭ রানে নেই ৫ উইকেট। এখান থেকে দলকে শুধু মাহমুদউল্লাহ-ইমরুল উদ্ধারই করলেন না, বাংলাদেশের মানও বাঁচিয়েছেন।
একই সঙ্গে তারা বোঝালেন অভিজ্ঞতা কোনও কিছু দিয়ে কেনা যায় না। এটা অর্জন করতে হয়। ২১৫ রানে আফতাব আলমের বলে মাহমুদউল্লাহ ছক্কা মারতে গিয়ে ধরা পড়লেন রশিদের হাতে। অবশ্য তার আগেই তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ২০ তম ফিফটি। ৮১ বলে তিন চার আর দুই ছক্কায় ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। ইমরুলকে শেষ অবধি খেলে গেছেন। ৮৯ বলে ৭২ রান করেছেন তিনি তিন চার আর দুই ছক্কায়। ৫৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার আফতাব আলম।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন