রাহুলের প্রচারে গুজরাটে কোণঠাসা বিজেপি

বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী এলাকা গুজরাটে এবার কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি।

শিগগিরই কংগ্রেসের হাল ধরতে যাওয়া রাহুল গান্ধীর প্রচারে বেসামাল গেরুয়া শিবির।

ক’মাস আগেও গুজরাট বিধানসভার নির্বাচন নিয়ে বিন্দু উদ্বেগ ছিল না অমিত শাহদের। কিন্তু রাহুল গান্ধী গুজরাটে মাটি কামড়ে প্রচার শুরু করার পর থেকে গত দুই মাসে ছবিটা দ্রুত বদলায়।

চলতি মাসে গুজরাটে সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তরুণ নেতারা সরাসরি রাহুলের পাশে দাঁড়ানোর পর বিজেপি এখন রীতিমতো চাপে।

বিশেষ করে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালগুলোর ছাত্র সংসদের নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির ভরাডুবিতে চিন্তার বলিরেখা দেখা দিয়েছে মোদিসহ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের।

গুজরাট কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাউন্সিলের ভোটে কার্যত উড়ে গেল এবিভিপি। তাদের হারিয়ে বিপুল জয় পেলেন দলিত ও বাম-সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা।

কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ওই ভোট বয়কট করলেও নির্দলীয়দেরই সমর্থন করেছিল। এর আগে মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র বারানসী থেকে শুরু করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও হেরেছে এবিভিপি। বিধানসভার ঠিক মুখে এমন হার ঘুম কেড়ে নিয়েছে বিজেপি নেতাদের।

অমিত শাহ, অরুণ জেটলি, স্মৃতি ইরানি, মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানীসহ একাধিক হেভিওয়েট নেতা শনিবার রাতেই রাজ্যের নানা প্রান্তে পৌঁছেছেন। এত আয়োজন দেখে টুইটারে খুশি গোপন রাখেননি মোদি নিজেও।
কিন্তু সেই ‘খুশি’র আমেজ থাকল না বেশিক্ষণ। গুজরাট কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাউন্সিলের ভোটে এবিভিপির কার্যত উড়ে যাওয়ার খবরে প্রচণ্ড ধাক্কা খেল বিজেপি।

কংগ্রেস বলছে, দেয়াল লিখন স্পষ্ট। যুবসমাজ আর মোদির সঙ্গে নেই। এমন পরিস্থিতি কাজে লাগাতে তৎপর রাহুল নিজেও। শনিবারই গুজরাটের দহেগামে এক প্রচারে গিয়ে রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে মোদিকে সরাসরি নিশানা করেছেন তিনি। পাশাপাশি অমিত শাহের ছেলে জয় শাহকে নিয়ে তীব্র কটাক্ষও করেছেন।

অবস্থা দেখে দিল্লিতে বিজেপির একাধিক নেতার বক্তব্য, অমিত শাহ গুজরাটে ১৫০ আসন জেতার কথা বলছেন। দেড়শ তো দূরের কথা গতবারের ১১৬টা আসন ধরে রাখাই এখন তাদের পক্ষে অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে।

গুজরাট নিয়ে মোদি শিবিরের এই ভয়কেই উপভোগ করছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এ কেমন ভোট! দিল্লি ফাঁকা। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীরা সব গুজরাটে। দেশের কাজ কে করবেন?’