‘রিজার্ভ চুরির বাকি অর্থ ফেরত পাওয়া সহজ হবে না’
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বাকি অর্থ ফেরত পাওয়া সহজ না হলেও দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এটা ফেরত পাওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিপিন্সের অর্থমন্ত্রী কার্লোস ডোমিংগুয়েজ। এ অর্থ ফেরত পেতে ফিলিপিন্স সরকারের পূর্ন সমর্থন রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
জাপানে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি’র বৈঠকে যোগ দিতে এসে চ্যানেল আইকে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া এখনও চলছে। আপনারা জানেন যে, বিচারের এ প্রক্রিয়া খুবই ধীর গতির। কিন্তু আমরা আমাদের সর্বোচ্চটি দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাকি অর্থ ফেরত পেতে আমাদেরকে আরও বিস্তারিত আইনি প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে যেতে হবে। আর এ বিষয়টি চলমান রয়েছে।
তবে দেরিতে হলেও বাকি অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হবে বলে তিনি খুবই আত্মবিশ্বাসী বলেও এসময় মন্তব্য করেন।
গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা (আটশত আট কোটি টাকা) হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি করা হয়, যা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে গচ্ছিত ছিল।
ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বাংলাদেশ একাউন্ট থেকে চুরি হওয়া ১০০ মিলিয়ন ডলার ফিলিপিন্সের জুয়ার বাজারে চলে যায়। এটি দেশটির ইতিহাসে সর্ববৃহ অর্থ পাচারের ঘটনা।
প্রাথমিকভাবে হ্যাকাররা ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করলেও পরে দুই কোটি ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
ফিলিপিন্সের সিনেট কমিটি এই চুরির ঘটনার তদন্ত শুরুর পর একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করার পর তা ফেরত পায় বাংলাদেশ।
এখন বাকি টাকা ফেরতের জন্য আইনি প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন