রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় হোয়াইট হাউসের উদ্বেগ
মিয়ামনারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে সহিংসতা চলছে, সে বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বুধবার এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউস।
হত্যা, নির্যাতন, খুন, গণধর্ষণ, গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়াসহ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে সহিংসতা চলছে এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। শিগগিরই এসব সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও তাদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ হওয়া থেকে প্রমাণিত হয়, নিরাপত্তা বাহিনী তাদের সুরক্ষা দিচ্ছে না।’
আরো বলা হয়েছে, ‘মিয়নমারের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার জের ধরে বসতবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষ। আমরা আবারো সহিংসতায় রূপ নেওয়া এসব হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
ডি ফ্যাক্টো সরকার প্রধান ও রাষ্ট্রীয় পরামর্শক অং সান সু চির সরকারকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সহিংসতা বন্ধ করে বেসামরিক মানুষদের সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের যেভাবে মানবিক সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার, তারও প্রশংসা করেছে হোয়াইট হাউস।
জাতিসংঘের হিসাবমতে, রাখাইনে মিয়ানমারের পরিচালিত জাতিগত নিধন অভিযানের মুখে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। নিহত হয়েছে সহস্রাধিক রোহিঙ্গা। সীমান্তের বিভিন্ন স্থান ও নদী থেকে এখনো পাওয়া যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের লাশ। চরম মানবিক সংকটের মুখে আছে রোহিঙ্গা শিশু, নারীসহ তাদের সবাই।
হোয়াইট হাউস এমন সময় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ জানাল, যখন এ ইস্যুতে স্থানীয় সময় বুধবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক বসতে চলেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান জেইদ রাদ আল-হুসেইন মিয়ানমারে ‘জাতিগত নিধন’ চলছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘পাঠ্যবইয়ে জাতিগত নিধন’ বলতে যা বোঝায়, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে তাই চলছে। এরপর যুক্তরাজ্য ও সুইডেনের অনুরোধে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়।
তবে বৈঠকের আগের দিন মঙ্গলবার চীন আবারো মিয়ানমারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। চীনের এ ধরনের সমর্থন ব্যক্ত করায় সংশয় তৈরি হয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব আনা হবে কিনা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন