রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি দেখতে রাখাইনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে প্রায় এক বছর আগে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। তাদেরকে ফিরিয়ে নিতে ইতোমধ্যে দেশটির সঙ্গে একটি চুক্তি সই হয়েছে। তবে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে গড়িমসি করছে মিয়ানমার।
এবার দেশটির যে এলাকা থেকে রোহিঙ্গারা বিতাড়িত হয়ে এসেছে সেই রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনে গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার সঙ্গে রয়েছে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। তারা শনিবার রাখাইন রাজ্যের মংদু শহরের আশপাশের কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের কয়েকজন সদস্য এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা দুপুরে মংদুর উদ্দেশে সিতুই ত্যাগ করেন।
মিয়ানমারের সমাজ কল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী উইন মায়াত অ্যাই বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানের পর গত বছর ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্য থেকে সাত লাখ ২০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। আগে থেকে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে অবস্থান করছে। তাদের আশ্রয় ও পুনর্বাসনে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফোরামে দাবি জানিয়ে আসছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কে আলোচনার জন্য চার দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
শুক্রবার মিয়ানমারের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নেপিডোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের মন্ত্রী চ টিন্ট সোয়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। তবে দেশটি বলেছে, যেসব রোহিঙ্গা রাখাইনে ফিরে যাবে, আবেদনপত্র পূরণের সময় অবশ্যই তাদের সই ও আঙুলের ছাপ যুক্ত থাকতে হবে।
বৈঠকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে। এ নিয়ে আলোচনার পথ সুগম করতে দুই মন্ত্রীর মধ্যে একটি হটলাইন স্থাপিত হয়েছে।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, নেপিডোর থিনগাহা হোটেলে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মাহমুদ আলী বাংলাদেশের এবং চ টিন্ট সোয়ে তাঁর দেশের নেতৃত্ব দেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন