লন্ডনে ইংলাক, চেয়েছেন রাজনৈতিক আশ্রয়
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা এখন ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে অবস্থান করছেন। তিনি দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁর দল ফেউ থাই পার্টির সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
চালে ভর্তুকি কর্মসূচিতে দুর্নীতির দায়ে থাইল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হন ইংলাক। আদালত তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। সর্বশেষ গত ২৫ আগস্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি।
২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন ইংলাক। এরপর তাঁর দেশ ছাড়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার থাই প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুত চান-ও-চা বলেন, ইংলাক এখন দুবাইয়ে অবস্থান করছেন, যেখানে তাঁর ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা থাকেন। তবে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দুই সপ্তাহে আগেই ইংলাক দুবাই থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশ্রয় আবেদন নিয়ে কাজ করে। তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
থাইল্যান্ডের চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র চিন্তাবিদ থিতিনান পংসুধিরাক বলেন, আদালতে শুনানিতে ইংলাক উপস্থিত না থাকায় দেশের বেশির ভাগ মানুষ খুব আশ্চর্য হয়। তিনি বলেন, ‘যেভাবে তিনি লড়াই করছিলেন, তাতে মনে হয়েছিল তিনি বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হবেন।’
থিতিনান বলেন, দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার কারণে সেনাবাহিনী আরো শক্তিশালী হবে। তারা তাঁকে কারাগারে পাঠাতে চায়নি। এখন তিনি পেছনে চলে গেলেন এবং তাদের সুযোগ দিলেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, সামরিক সরকার ভিন্নমত, বিক্ষোভ দমন করছে। তাঁর দলের সমর্থকরা সারা দেশে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের পক্ষে আন্দোলন করা কঠিন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন