লন্ডন হামলায় আইএস সমর্থকদের উল্লাস
লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলার দায়ভার এখনও কেউ স্বীকার করেনি। তবে এই হামলাকে ঘিরে উল্লাস প্রকাশ করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের সমর্থকরা। গাড়ি ও ছুরি হামলার এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক জনের বেশি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহত হয়েছেন ১০জনেরও বেশি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যম আইএস সমর্থকরা এই হামলার ব্যাপারে তাদের সমর্থন ও উল্লাস প্রকাশ করেছেন।
শনিবার রাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ব্রিজে একটি ভ্যানের ধাক্কায় কয়েকজন পথচারী আহত হন। পরে ওই ভ্যান থেকে চারজন ব্যক্তি বড় আকারের ছুরি নিয়ে নেমে পড়ে। ব্রিজের নিকটবর্তী বরো মার্কেটে কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করে ভ্যান থেকে নেমে আসা ব্যক্তিরা।তাদের উপর গুলি চালায় পুলিশ। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ভক্সহলে আরেকটি ঘটনা সামাল দেওয়া হচ্ছে জানানো হলেও সেটা এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় বলে জানায় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।
হামলার ঘটনায় লন্ডন ব্রিজে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ইতোমধ্যে সেই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এই বিষয়ে রবিবার সকালে সরকারি জরুরি বৈঠকে বসবেন তিনি। এছাড়া এই ঘটনায় শোক জানিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘লন্ডনে হতাহতদের ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় ধন্যবাদ।’
এই হামলায় একাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলায় আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বরো মার্কেটে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এক ব্যক্তি প্রায় ১০ ইঞ্চির ছুরি নিয়ে একজনকে কোপাতে থাকে। অন্তত তিনবার ছুরিকাঘাত করা হয় ওই ব্যক্তিকে। এরপর হামলাকারী সেখান থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ গুলি চালিয়ে একাধিক হামলাকারীকে দমন করে।
এর কিছুক্ষণ আগেই লন্ডন ব্রিজে আনুমানিক ৫০ কিলোমিটার বেগে আসা একটি সাদা ভ্যান হঠাৎ করেই পথচারীদের উপর চলে আসে। এর পরপরই সেখানে পুলিশ অবস্থান নেয়। তবে এখনও নিহতের কোনও খবর জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গাড়ির ধাক্কায় অন্তত ৫-৬ জন আহত হয়েছেন। মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, তারা এই ঘটনা খতিয়ে দেখছে। এখন পর্যন্ত আহত ৫জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ব্রিজটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদক হলি জোনস জানান, এ ঘটনায় একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার হাতে হাতকড়া ছিলো ও শার্ট খোলা ছিল।
এর আগে ২০১৬ সালে ফ্রান্সের নিসে একটি ট্রাকহামলায় অনেক মানুষ মারা গিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে ফ্রান্সের নান্তেস ও ডিজনে একই ধরনের দুটি হামলা হয়।
সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন