লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে অবরুদ্ধ পরিবারকে প্রাচীর ভেঙ্গে মুক্ত করলেন ইউএনও

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কাশীরাম গ্রামে বড় ভাইয়ের দেওয়া প্রাচীরে অবরুদ্ধ ছিলেন সাত সদস্যের পরিবার। উক্ত প্রাচীর ভেঙ্গে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা।

শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি প্রাচীর ভেঙে দিয়ে ওই পরিবারকে বাড়িতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেন।

জানা যায়, জমি বিরোধের জের ধরে প্রায় একমাস পূর্বে উক্ত বাড়ির সামনে প্রাচীর দিয়ে অবরুদ্ধ করেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল মালেক ও তার ছেলে মেজবাহল ইসলাম রাজু ঐ দিন উক্ত পরিবারের সদস্যদের কে মারধর করে। তারা চিকিৎসার জন্য হাসপাতলে ভর্তি হলে এই সুযোগে রাতের বেলা উক্ত বাড়ির সামনে প্রাচীর দেয়।

বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। জেলা প্রশাসক ইউএনও কালীগঞ্জকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলে শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিয়ে ওই পরিবারকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আব্দুল খালেক বলেন, ঐদিন আমার বড় ভাই ও ভাতিজা আমাকে মারধর করে আমি চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গেলে আমার বাড়ির সামনে প্রাচীর দিয়ে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে দেয়। গতকাল ইউএনও স্যার এসে প্রাচীর ভাঙার আদেশ দেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, আমি বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে প্রাচীর ভেঙে তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
তুষভান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান নুর ইসলাম আহমেদ বলেন, এর আগে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বসা হয়েছিল কিন্তু আব্দুল মালেক বিষয়টি এড়িয়ে যান।