লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি নিয়ে বিরোধে শতাধিক ফলজ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেড়ে বসত ঘরে হামলা-ভাংচুর ও শতাধিক ফলজ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে হাসেম আলী(৪৫) গংদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় গত ১৩ নভেম্বর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে রেহেনা বেগম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এর আগে ১২ নভেম্বর উপজেলার সানিয়াজান ইউপির ঠ্যাংঝাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার সানিয়াজান ইউপির ঠ্যাংঝাড়া গ্রামের রাজু (২৯), সুজন(২৬), শাহিন(২৪), তুহিন(২০), ইউসুফ আলী(৫০), ফজলু(৪০) সহ আরও অনেকে।
জানা গেছে, অভিযুক্তদের সাথে ভুক্তভোগী পরিবারের দীর্ঘ সময় ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।

সেই বিরোধের জেড়ে গত ১২ নভেম্বর অভিযুক্তরা অতর্কিত ভাবে ভুক্তভোগীদের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। পরে ভুক্তভোগী পরিবারের লাগানো আম ও লিচু মিলে প্রায় শতাধিক ফলজ গাছ কেটে ফেলে অভিযুক্তরা। এতে বাধা দিতে আসলে অভিযুক্তরা তাদের মারধরের চেষ্টা চালায় ও হুমকি-ধামকি দেয়।

এ বিষয়ে অভিযোগকারীর ছেলে মহসিন রানা বলেন, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে পুকুর ও কয়েক একর জমি তিন বছরের জন্য লিজ নেই। সেই জমিতে শতাধিক ফলজ লাগাই। আমি ও আমার বাবা তা নিজে পরিচর্যা করে বড় করছি। ফলজ গাছ গুলো আমরা নিজেরা ভোগ করতে লাগাইনি। আমরা লাগাইছি যাতে এলাকার সবাই ফল ধরার পর খেতে পারে।

কিন্ত হাসেম আলী ও ফজলুরা জমি নিয়ে বিরোধের জেড়ে গত ১২ নভেম্বর তারা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ও ফলজ গাছ কেটে ফেলে। এ ঘটনায় আমার মা বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। আমি তাদের সঠিক বিচার দাবী করছি।

অভিযোগকারী রেহেনা বেগম বলেন, অভিযুক্তরা হঠাত আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায়। ঘরে প্রবেশ করে আলমারি, টিভি, ফ্রিজ ও অনেক আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এমনকি শতাধিক ফলজ গাছ কেটে ফেলে। আমাদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো। কিন্ত গাছ গুলো কি দোষ করেছিলো। গাছ গুলো কাটলো কেন? আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি তাদের শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসেম আলী বলেন, রেহেনা বেগম যে অভিযোগ করেছে তার সম্পূর্ন মিথ্যা। আমি বা আমার লোকজন তাদের বাড়িতে হামলা চালাইনি এবং গাছও কাটিনি। জমি নিয়ে ঝামেলা তাদের ভাইয়ে ভাইয়ে আমাকে এখানো জড়ানো হলো কেন আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে জানতে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বাইরে আসছি। এ নিয়ে পরে থানায় কথা হবে।