লালমনিরহাটে গুলিবিদ্ধ জরিফুলের পাশে বিএনপি নেতা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ জরিফুল ইসলাম পাশে জেলা বিএনপি’র সহ-সাধারণ সম্পাদক ও হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ আহবায়ক রফিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি জরিফুলের নিজ বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা পূর্ব সাড়বুবী গ্রামে জরিফু্‌লের বাড়িতে গিয়ে বিএনপি’র পক্ষ থেকে তার খোঁজখবর ও আর্থিক সহতা প্রদান করেন।

সে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা পূর্ব সারডুবী গ্রামের আব্দুর সাত্তার ছেলে জরিফুল ইসলাম। তিনি ঢাকার সাভারে একটি দোকানে মুরগির মাংস বিক্রি করতেন।

জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাভারে ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন জরিফুল। দিনব্যাপী পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এসময় জরিফুলের বাম পায়ে একটি গুলি লাগে। অন্য ছাত্ররা তার পা থেকে গুলি বের করার সময় একই পায়ে আরেকটি গুলি লাগে তার। এসময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

জরিফুল ইসলাম পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আয়-রোজগার না থাকায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে মানববেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।

এসময় জেলা বিএনপি’র সহ-সাধারণ সম্পাদক ও হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন,বিএনপি’র পক্ষ থেকে তার খোঁজখবর নিচ্ছি এবং তাকে আর্থিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। জরিফুল সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি তাকে সহযোগিতা করে আসবেন।

এ সময় হাতীবান্ধা উপজেলার বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।