লালমনিরহাট রেলওয়েতে চলছে নিয়োগের নামে ঘুষ বানিজ্য

লালমনিরহাট রেলওয়ে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক টিএলআর নিয়োগে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ফিরোজ। কে এই ফিরোজ? তিনি লালমনিরহাট রেল ডিভিশনের বিভাগীয় প্রকৌশলী দপ্তর “ডিইএন” অফিসের প্রধান অফিস সহকারী (হেডএসিটেন্ট) মিঃ ফিরোজ।

অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক টিএলআর নিয়োগে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার মুল হোতা মিঃ ফিরোজের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ মহাপরিচালক রেলভবনসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, লালমনিরহাট রেল ডিভিশনের বিভাগীয় প্রকৌশলী দপ্তর “ডিইএন” অফিসের প্রধান অফিস সহকারী হিসেবে মিঃ ফিরোজ যোগদান করার পর থেকে বেশকিছু অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েন। তার অধীনে বিভিন্ন অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক টিএলআর, গেটম্যান, ওয়েম্যান, খালাসীসহ রেল কর্মচারীদের জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকেন। কোন কর্মচারী এসুবিধা দিতে না চাইলে তাকে দুরে কোথাও বদলী করা হয়।

তাছাড়াও ফিরোজের রয়েছে নিয়োগ বাণিজ্যের একটি বিশাল সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সারা বছর জুড়ে নিয়োগ প্রার্থীদের নিকট থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক টিএলআর, গেটম্যান, ওয়েম্যান, খালাসী কর্মচারীর নিয়োগ বাণিজ্য করে থাকেন। ফিরোজের এ নিয়োগ বাণিজ্যর সদস্য হলেন, বামনডাঙ্গা স্টেশনের জেলাল, তিস্তা, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা রয়েছে বেশ কজন। তাদের মাধ্যমে ২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক টিএলআর, গেটম্যান, ওয়েম্যান, খালাসী কর্মচারীর ২০/২৫ নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। ঘুষ ছাড়া তার টেবিলের কোন ফাইলেই নড়ে না। ফলে ডিইএন অফিসের আওতাধীন কর্মচারীরা প্রধান অফিস সহকারী মি. ফিরোজের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।

লালমনিরহাট রেল ডিভিশনের বিভাগীয় প্রকৌশলী দপ্তরের আওতাধীন নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক এক কর্মচারীরা বলেন, ছোট কাজ হোক আর বড় কাজেই হোক না কেন, ঘুষ ছাড়া তার টেবিলের কোন ফাইলেই নড়ে না। ফিরোজ নিয়োগ বাণিজ্য করে ইতিমধ্যে গাইবান্ধা শহরে বাড়ি করেছেন। তাছাড়াও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। যা তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে যে মিঃ ফিরোজ রেলওয়েতে চাকরি যোগদানের পর থেকে কি পরিমাণ অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট রেল ডিভিশনের বিভাগীয় প্রকৌশলী দপ্তর “ডিইএন” অফিসের প্রধান অফিস সহকারী মি. ফিরোজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যদি কেউ অভিযোগ করে থাকে তাহলে সেটি মিথ্যা। একটি লোকও বলতে পারবে না যে আমি নিয়োগ বা ঘুষ বাণিজ্য করছি।