শহীদ জননীর পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত প্রিয়ভাষিণী
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের পাশেই শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। বৃহস্পতিবার সোয়া চারটায় তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের পাশে দাফন করা হয়।
এর আগে সকাল ১১টায় সর্বজনের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রিয়ভাষিণীকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। যোহরের নামাজের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
বেলা এগারটায় প্রিয়ভাষিণীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে অাসেন মেয়ে রত্নেশ্বরী প্রিয়দর্শিনী,ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী, ছেলে কারু তিতাস, কাজী শাকের তূর্য।
শুরুতেই ঢাকা জেলার পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর বাংলাদেশ অাওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে শ্রদ্ধা জানাতে অাসে বাংলাদেশ নারী পরিষদ, জাতীয় কবিতা পরিষদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, অাইন ও সালিস কেন্দ্র, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, সম্মিলিত সামাজিক অান্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, অান্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান ইমরান এইচ সরকার। শ্রদ্ধা জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
অাগামী ১৩ মার্চ বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নাগরিক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দেশের প্রখ্যাত ভাস্কর, মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন