শাহবাগে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ: তদন্ত কমিটি গঠন
রাজধানীর শাহবাগে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণাসহ কয়েকটি দাবিতে পুলিশের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংর্ঘষের ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (২৩ জুলাই) বিকেলে ডিএমপির পক্ষ থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপস) মীর রেজাউল আলমকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন- ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি-দক্ষিণ) বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডিসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের এডিসি আশরাফুল আলম।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের এডিসি ইউসুফ আলী জানান, কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পরীক্ষার রুটিন ও তারিখ ঘোষণাসহ কয়েকটি দাবিতে গত বৃহস্পতিবার সকালে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
কলেজগুলো হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও মিরপুর বাংলা কলেজ।
এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবিতে জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাদের অবস্থানের কারণে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ তাদের ওই জায়গা ছেড়ে যেতে বলে। এরপর শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুট ওভারব্রিজের পাশের অংশে অবস্থান নেন।
এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। এসময় গুরুতর আহত হন সিদ্দিকুর রহমান (২৩) ও নাইমুল ইসলাম (২৫)।
দুজনকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে সিদ্দিকুরের চোখের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আগারগাঁওয়ের চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা বলছেন, সিদ্দিকুরের ডান চোখের অবস্থা খারাপ। তবে তার বাম চোখে দৃষ্টি ফিরে আসার ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন